Previous
Next

সর্বশেষ

pdf নারী ও পুরুষ ভুল করে কোথায় nari o purush vul kore kothay

pdf নারী ও পুরুষ ভুল করে কোথায় nari o purush vul kore kothay

nari o purush vul kore kothay
নারী ও পুরুষ ভুল করে কোথায় আল বাহি আল খাওলি
প্রকাশনীঃ পিস পাবলিকেশন
বইয়ের সাইজঃ ৫-এমবি
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৯১
বইয়ের ফরম্যাট পিডিএফ ই-বুক
বিভাগঃ পারিবারিক জীবন
কৃতজ্ঞতায়ঃ বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার

ইসলামে নারীর মানবাধিকার

আমরা ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছি যে, অতীতের অনেক সভ্য সমাজেও তা ধর্মভিত্তিক হোক বা ধর্মহীন নির্বিশেষে নারীকে মানুষ বলে স্বীকার করা হবে কি না তা তর্ক-বির্তকের বিষয় ছিল। তারা এ ধরনের প্রশ্ন উত্থাপন করত, নারীও কি পুরুষের মতো উপাসনা করতে সক্ষম? নারীও কি পুরুষের মতো পরকালীন জীবনে প্রবেশ করবে? একটি বিষয়ে তাদের মতৈক্য ছিল যে, নারী হচ্ছে এক অপবিত্র জীব। একে শুধু পুরুষের সেবা ও মনোরঞ্জনের জন্যই এ পৃথিবীতে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ এরকম আরও বহু অর্থহীন ও নোংরা ধারণার শিকারে পরিণত ছিল প্রাচীন যুগের পুরুষ সম্প্রদায়। এমন অমানবিক চিন্তাধারা ও কার্যকলাপ যখন চরম সীমায় উপনীত হয় তখনই নারী তথা সমগ্র নির্যাতিত মানবতার চিরমুক্তির পয়গাম নিয়ে পৃথিবীর বুকে ইসলামের আবির্ভাব ঘটে।

ইসলাম প্রথমেই নারী জাতির অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে। তার দায়িত্ব ও কর্মক্ষেত্র নির্ধারণ করে, তার পূর্ণ মানবিক অধিকার বহাল করে এবং নারীর এত বেশি মর্যাদা দেয়া হয় যে, সাহাবারা পর্যন্ত অবাক হয়ে যান। নারী জাতিকে হাজার হাজার বছরের শোষণ-নির্যাতন, অবিচার-বঞ্চনা ও অত্যাচার-অধীনতার নির্মম নাগপাশ থেকে পূর্ণ মুক্তি দেয়ার জন্যে ইসলামের এসব ঘোষণা ও ত্বরিৎ পদক্ষেপ গ্রহণ একান্ত অপরিহার্য ছিল।

ইসলাম নারীর পূর্ণ অর্থনৈতিক স্বাধিকার দিয়ে তাকে পুরুষের সমান অধিকার ও ক্ষমতা অর্পণ করে। এভাবে নারীকে শতাব্দীর নিষ্ঠুর শোষণের অক্টোপাশ থেকে স্বাধীন করে তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে উজ্জ্বল করে তুলে। এর চেয়েও বড় কথা, ইসলাম নারীকে সমাজের উল্লেখযোগ্য অংশীদার গণ্য করে তার ওপর সমাজ সংস্কারের দায়িত্বও ন্যস্ত করে। তার কর্মক্ষেত্র ও তার ভূমিকা পালনে সীমা নির্ধারণও করে দেয় ইসলাম। নারী সমাজ যাতে তাদের উন্নত মর্যাদায় নির্দেশ যথার্থ পথে অগ্রগতি অর্জন করতে পারে এবং নিজেদের হীনমন্যতা, পুরনো বিভ্রান্তি ও কুসংস্কার থেকে মুক্তির পথ খুঁজে নিতে পারে সে জন্যে ইসলাম সঠিক ও বাস্তবানুগ কর্মপন্থা নির্ধারণ করে।

নারী ও পুরুষ ভুল করে কোথায়

নারীর ধর্মীয় মর্যাদা আমরা পূর্বেই ইঙ্গিত প্রদান করেছি যে, নারীর ধর্মীয় অধিকার ও মর্যাদার ব্যাপারটি খোদাভীরুতার উপদেশ দানের মধ্যেই নিহিত আছে। এর কারণ হলো তার মানবিক বৈশিষ্ট্যের স্বীকৃতি অর্থাৎ বুদ্ধিগত ও আধ্যাত্মিক দিক থেকে তার দায়িত্ব ঠিক পুরুষেরই সমান এবং এ ব্যাপারে তাকে পুরুষের মতোই যোগ্য বলে গণ্য করা হয়েছে। এ কারণেই আল্লাহ তা'আলা যখন আদি মানব আদমকে বেহেশতে থাকার জন্যে বলেন এবং নিষিদ্ধ গাছের ফল ভক্ষণ করতে নিষেধ করেন তখন সেই আদেশ ও নিষেধের বাধা অতিক্রম করে সম্বোধন আদি মাতা হাওয়ার প্রতিও ছিল, যেমনটি ছিল হযরত আদমের প্রতি। পবিত্র কুরআনে এ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে:
"এবং হে আদম! তুমি এবং তোমার স্ত্রী উভয়ই এ জান্নাতে বসবাস করতে থাক, সেখানে যে জিনিস তোমাদের ইচ্ছে হয় খাও, কিন্তু ঐ বৃক্ষের নিকট যেও না, নয়তো অত্যাচারীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (সূরা আরাফ: আয়াত-১৯)
এরপর যখন আল্লাহ তা'আলা তাদের অবাধ্যতার জন্যে ভর্ৎসনা করেন তখনও উভয়কে একই সাথে সম্বোধন করে বলেন:
"আমরা কি তোমাদের উভয়কেই ঐ গাছের নিকটে যাওয়া থেকে বাধা দিইনি।"

তাছাড়া ইসলাম নারী-পুরুষের ক্ষমতার শুধু সংবাদই দেননি বরং তাকে হাতে কলমে বাস্তবায়ন ও তার স্থায়িত্ব এবং স্থিতিশীলতা দানের উদ্দেশ্যে তাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন সম্পর্কে আল্লাহর দরবারে জবাবদিহির উপলব্ধিও সৃষ্টি করেন। এর সাথে সাথে নারীদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণে একটি বিশেষ বাইয়াতের আয়োজনও করা হয় যেন তাদের এক পৃথক মর্যাদা স্বীকৃত হয় এবং তারা যেন শুধুমাত্র বাবা, ভাই বা অন্য কোনো মানুষের চাপে পড়ে ইসলাম কবুল না করে। ইসলাম গ্রহণ করা সম্পর্কেও নারীদের পরিপূর্ণ ব্যক্তি স্বাধীনতার অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে।

নারীর সামাজিক অধিকার

ইসলাম নারীর সামাজিক অধিকারও দিয়েছে এবং এ উদ্দেশ্যে নিম্নবর্ণিত আইনবিধি প্রবর্তন করেছে-
ক. মেয়ে যখন বালেগ অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্কে পৌঁছে এবং তার জ্ঞান-বুদ্ধির বিকাশ ঘটে সব বিষয় ও সম্পর্কে ভালো করে অনুধাবন করতে শুরু করে তখন তার ব্যক্তিগত ধনসম্পদ ও নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের যাবতীয় অধিকার অর্জিত হয়ে যায়। এখন সে চাইলে পৃথক কোনোরূপ বাসগৃহেও অবস্থান করতে পারে। এ ব্যাপারে তার আত্মীয়স্বজনের হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই, তাকে কেউ নিজেদের সাথে থাকার জন্যে বাধ্য করতে পারে না। অবশ্য শর্ত হলো সে যেন সচেতন ও সজ্ঞান হয় যাতে নিজেই তার জানমাল ও ইজ্জত আব্রুর নিরাপত্তা বিধান করতে পারে।

শাব্দিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আহমদ ইব্রাহীম বলেন, "মেয়ে যখন যৌবনপ্রাপ্ত হয়, বা বিবাহিতা হোক বা অবিবাহিতা তার অবস্থা যদি অসন্তোষজনক হয় তাহলে তার পিতা অথবা অন্য কোনো দায়িত্বশীলের এ অধিকার বর্তায় যে, সে তাকে নিজের কাছেই থাকার জন্যে বাধ্য বাধকতা প্রয়োগ করবে। কিন্তু মেয়ে যদি জ্ঞানী বুদ্ধিমতী ও মর্যাদাবান হয় তাহলে তাকে কাছে রাখার জন্যে বাধ্য করার অধিকার কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির থাকে না। অবশ্য বিয়ের পর মেয়ের এ অধিকার স্বভাবতঃই সমাপ্ত হয়ে যায় এবং তার পক্ষে স্বামীর সাথে অবস্থান করা অপরিহার্য হয়ে উঠে যেন সে তার দাম্পত্যের অধিকার ও দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে পারে। এটা এমন এক স্বাভাবিক কথা যার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের কোনো প্রয়োজন নেই।"

নারী ও পুরুষ পরস্পরের বন্ধু ও অভিভাবক nari o purush porosporer bondhu

নারী ও পুরুষ পরস্পরের বন্ধু ও অভিভাবক nari o purush porosporer bondhu

nari o purush porosporer bondhu
নারী ও পুরুষ পরস্পরের বন্ধু ও অভিভাবক মাসুদা সুলতানা রুমী
প্রকাশনীঃ আহসান পাবলিকেশন
বইয়ের সাইজঃ ১-এমবি
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪২
বইয়ের ফরম্যাট পিডিএফ ই-বুক
বিভাগঃ পারিবারিক জীবন
কৃতজ্ঞতায়ঃ বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার

পুরুষের প্রতি নারীর আনুগত্য

হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "সেই স্ত্রীই সর্বোত্তম, যাকে দেখলে তোমার মন আনন্দে ভরে যায়। তুমি তাকে কোনো আদেশ করলে সে তোমার আনুগত্য করে। আর তুমি ঘরে না থাকলে সে তোমার অনুপস্থিতিতে তোমার ধন সম্পদের ও তার নিজের হেফাজত করে।"

এ হাদীসটি এই আয়াতের চমৎকার ব্যাখ্যা পেশ করে। কিন্তু একথা ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে যে, স্ত্রীর জন্য নিজের কাওয়ামের আনুগত্যের চাইতে বেশী গুরুত্বপূর্ণ এবং অগ্রগণ্য হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্য। কাজেই কোনো পুরুষ যদি তার স্ত্রীকে আল্লাহর নাফরমানি করার হুকুম দেয় অথবা আল্লাহর অর্পিত কোনো ফরজ থেকে তাকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা চালায় তাহলে এ ক্ষেত্রে তার আনুগত্য করতে অস্বীকার করা স্ত্রীর জন্য ফরজ হয়ে দাঁড়ায়। এ অবস্থায় যদি স্ত্রী তার 'যওজি'র (হাসব্যান্ডের) আনুগত্য করে তাহলে সে গোনাহগার হবে। বিপরীত পক্ষে পুরুষ যদি স্ত্রীকে নফল নামাজ বা নাফল রোজা রাখতে নিষেধ করে তাহলে হাসব্যান্ডের কথা মেনে চলা তার জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নফল ইবাদত করলে তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না। অবশ্য সেই পুরুষকে খাঁটি মুমিন হতে হবে এবং ইবাদতের গুরুত্ব উপলব্ধি করার মতো বিবেক থাকতে হবে।

চতুর্থ পয়েন্টে অবাধ্য নারীর সাথে আচরণের সীমা কতদূর তার আলোচনা করা হয়েছে। তিনটি কাজ একই সংগে করার কথা এখানে বলা হয়েনি। বরং এখানে বক্তব্য হচ্ছে, অবাধ্যতা দেখা দিলে এই তিনটি ব্যবস্থা অবলম্বন করার অনুমতি রয়েছে। এখন এগুলোর বাস্তবায়নের প্রশ্ন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যি দোষ ও শাস্তির মধ্যে আনুপাতিক সম্পর্ক থাকতে হবে। যেখানে হালকা ব্যবস্থায় কাজ হয়ে যায়, সেখালে কঠোর অবস্থা অবলম্বন না করা উচিৎ। নবী (সা.) যেখানেই স্ত্রীদের মারার অনুমতি দিয়েছেন। সেখানেই তা দিয়েছেন একান্ত অনিচ্ছাসহকারে এবং লাচার হয়েই। আবার তারপরও একে অপছন্দই করেছেন। তবু কোনো কোনো স্ত্রী এমন হয়ে থাকে যে তাদেরকে মারধর না করলে সোজা থাকে না। এ অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ হচ্ছে, তাদের মুখে বা চেহারায় মেরো না-। নির্দয়ভাবে মেরো না এবং এমন জিনিস দিয়ে মেরো না যা শরীরে দাগ রেখে যায়।" নারী ও পুরুষ পরস্পরের বন্ধু ও অভিভাবক

(সাধারণভাবে স্ত্রীদের 'গায়ে হাত তোলা' স্বভাবকে রাসূল (সা.) ও করতেন। তিনি বলতেন "তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী মারা স্বভাবের লোক ভালো মানুষ নও।" সত্যি আমাদের সমাজে কিছু মহিলা এমন আছে যাদের। শান্তি না দিলে পারিবারিক শাস্তিই তারা নষ্ট করে ফেলে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তারা এত দুর্ব্যবহার করে যে শাস্তি তাদের প্রাপ্য।

আরও বই ডাউনলোড করুন
কোরআন হাদীস সংকলনের ইতিহাস - একেএম এনামুল হক ডাউনলোড
মুসলমানের নিকট আল কুরআনের দাবী ডাউনলোড
আল কুরআনে অর্থনীতি pdf download ডাউনলোড

আখেরাতের সফলতাই আসল সফলতা
إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ ، يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ لَن وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ ، وَمَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُمْ بِهِ ، وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ.
"প্রকৃত ব্যাপার এই যে আল্লাহ মু'মিনের জান ও মাল জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে মরে ও মারে। তাদের প্রতি তাওরাত ইনজিল ও কুরআনে আল্লাহর জিম্মায় একটি পাকাপোক্ত ওয়াদা বিশেষ। আর আল্লাহর চাইতে বেশী নিজের ওয়াদা পূরণকারী আর কে আছে? কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে যে কেনাবেচা করেছ সে জন্য আনন্দ করো। এটিই সবচেয়ে বড় সাফল্য।" (সূরা তাওবা: ১১১)
أَلَا إِنْ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَأَخَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَاهُمْ يَحْزَنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا وكَانُوا يَتَّقُونَ لَهُمُ الْبُشْرَى فِي الْحَيَوةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ ، لَا تَبْدِيلَ لِكَلِمَتِ اللَّهِ ، ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ.
"শোনো যারা আল্লাহর বন্ধু, ঈমান এনেছে এবং তাকওয়ার নীতি অবলম্বন, তাদের কোনো ভয় ও মর্ম যাতনার অবকাশ নেই। দুনিয়া ও আখেরাতে উভয় জীবনে তাদের জন্য শুধু সুসংবাদই রয়েছে। আল্লাহর কথায় পরিবর্তন নেই। এটিই মহাসাফল্য।" (সূরা ইউনুস: ৬২-৬৪)

নারী ও পুরুষ পরস্পরের বন্ধু ও অভিভাবক

আল্লা আবার বলেছেন,
وَعَدَ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَتِ جَنَّتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَرُ خُلِدِينَ فِيهَا وَمَسْكِنَ طَيِّبَةٌ فِي جَنَّتِ عَدْنٍ ، وَرِضْوَانٌ مِّنَ اللَّهِ أَكْبَرُ ، ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ.
"মু'মিন পুরুষ ও নারীকে আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাদেরকে তিনি এমন বাগান দান করবেন যার নিম্নদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহমান হবে এবং তারা তার মধ্যে চিরকাল বাস করবে। এসব চির সবুজ বাগানে তাদের জন্য থাকবে বাসগৃহ এরং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে। এটিই সবচেয়ে সাফল্য।" (সূরা তওবা: ৭২)

দাম্পত্য জীবনে সমস্যাবলির ৫০টি সমাধান dampotto jiboner somossa bolir

দাম্পত্য জীবনে সমস্যাবলির ৫০টি সমাধান dampotto jiboner somossa bolir

দাম্পত্য জীবনে সমস্যাবলির ৫০টি সমাধান
দাম্পত্য জীবনে সমস্যাবলির ৫০টি সমাধান আব্দুল হামীদ ফাইযী
প্রকাশনীঃ পিস পাবলিকেশন
বইয়ের সাইজঃ ২-এমবি
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৬৩
বইয়ের ফরম্যাট পিডিএফ ই-বুক
বিভাগঃ পারিবারিক জীবন
কৃতজ্ঞতায়ঃ বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার

সদ্য বিবাহিত ছেলে-মেয়েদের জন্য অমূল্য উপদেশ

বিয়ের সময় পুত্রের উদ্দেশ্যে পিতার উপদেশ

হে আমার আত্মজ! প্রথমেই আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি এ জন্য যে, তিনি আমার জীবনটাকে এতটুকু প্রলম্বিত করেছেন যে আমি তোমার বিয়ের রাত দেখতে পাচ্ছি। তুমি তোমার পুরুষত্বের পূর্ণতায় পৌঁছেছ। আজ তুমি তোমার দীনের অর্ধেক পূর্ণ করতে যাচ্ছ। হ্যাঁ, এখন তুমি সেই জীবন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছ যেখানে তুমি একটি মুক্ত বিহঙ্গের মতো ছিলে। কোনো বাধা-বিপত্তি ছাড়া যা-ইচ্ছে তা-ই করেছ এতদিন। কোনো চিন্তা ছাড়াই সমুদ্রে গিয়ে লাফিয়ে পড়েছ। সেখান থেকে তুমি যাচ্ছ এখন এক কর্তব্যপরায়ণতা ও পূর্ণতার জগতে।

একজন পিতা সেদিন নিজেকে সুখী মনে করেন, যেদিন তিনি নিজের সন্তানকে পুরুষ হয়ে উঠতে দেখেন। তুমি এক নব্য জগতে এবং এক নতুন জীবনে পা রাখতে যাচ্ছ। তাতে অনেক কল্যাণ ও সৌন্দর্য রয়েছে, সুন্দরভাবে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত করতে পারলে তুমি তা দেখতে পাবে। আবার তাতে অনেক অপ্রিয় ও তিক্ত দিক রয়েছে যা তোমার জীবন দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। তাই তোমাকে যথাযথ পরিচালনা ও উত্তরোত্তর উন্নতি করতে শিখতে হবে। আর অবশ্যই তোমাকে জীবন সঙ্গীনি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা থেকে বেঁচে থাকতে হবে। তুমি দশটি বিষয়ে লক্ষ্য না রাখলে নিজ ঘরে শাস্তি পাবে না। নিজের স্ত্রীর জন্য তুমি এ বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখবে। অতএব কথাগুলো মনে রেখ এবং এসব অর্জনে সচেষ্ট থেক:

প্রথম বিষয়: স্ত্রীগণ প্রেম ও ভালোবাসাপূর্ণ আচরণ পছন্দ করে। তারা চায় ভালোবাসার সুস্পষ্ট উচ্চারণ শুনতে চায়। অতএব তোমার স্ত্রীর সাথে এ ব্যাপারে কার্পণ্য দেখাবে না। এ ব্যাপারে যদি কার্পণ্য করো, তবে তুমি তার ও নিজের মধ্যে নির্দয়তার দেয়াল টেনে দিলে। স্বামী-স্ত্রীর নির্মল ভালোবাসার ব্যকরণে ভুল করলে।

ঘরকে আল্লাহর যিকিরের স্থানে পরিণত করা

এ বিষয়ে মহানবী ইরশাদ করেছেন: "যে ঘরে আল্লাহকে স্মরণ করা হয় এবং যে ঘরে আল্লাহকে স্মরণ করা হয় না, উভয়ের তুলনা জীবিত ও মৃত্যুর সাথে।” (আবু মুসা থেকে সহীহ মুসলিম-১/৫৩৯)

অতএব, জাহেলিয়াতের এ সয়লাবের মোকাবিলায় একজন মুসলিমের ঘরকে আল্লাহকে স্মরণের ঘরে পরিণত করা খুবই দরকারী, আল্লাহর স্মরণ মৃদুস্বরে অথবা নীরবে হতে পারে, সালাত, তিলাওয়াত ও ধর্মীয় জ্ঞান এবং এর বিভিন্ন বিভাগের উপর আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হতে পারে। বহু মুসলমানের ঘর রয়েছে যেখানে আল্লাহর যিকির বা ইবাদত ও স্মরণের ব্যবস্থা না থাকাতে বিদ্যমান হাদীসের আলোকে সেগুলোকে মৃত ঘর আখ্যা দেয়াই যুক্তিযুক্ত। বাস্তবিক পক্ষে ঐ সকল ঘরের অবস্থা আর কিবা হতে পারে?

আরও বই ডাউনলোড করুন
কাত (zakat book pdf book) - মাওলানা আবদুর রহীম (রহঃ) পিডিএফ ডাউনলোড ডাউনলোড
ইসলামী দর্শন pdf free download - শিবলী নুমানী ডাউনলোড
তাফসীরে তাবারী শরীফ সকল খন্ড পিডিএফ ডাউনলোড! ডাউনলোড

যেখানে শোনা যায় শুধুই মিউজিক, গল্প-গুজব এবং গীবত-শেকায়েত? যে ঘরগুলোতে নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশায় শুধুই ইসলাম বিরোধী আচরণ, নারীরা তাদের গায়রে মুহরিম আত্মীয়দের সাথে সাক্ষাতের ক্ষেত্রে পর্দার ধার ধারে না, প্রতিবেশীদের সাথেও নয়- যারা হর-হামেশা ঘরে প্রবেশ করছে। এ ধরনের ঘরগুলোতে রহমতের ফেরেপ্তাই বা কী করে প্রবেশ করবেন? অতএব খুব জোর দিয়েই এ সুপারিশ করছি যে, আপনার ঘরকে আল্লাহর যিকির তথা আল্লাহর ইবাদতের উপযুক্ত করে গড়ে তুলুন। তাকে শয়তানের আড্ডাখানায় রূপান্তরিত হওয়া থেকে আন্তরিকভাবে রক্ষা করুন।

ঘরে একটি ইসলামী পাঠাগার স্থাপন করা

খুব বড় পাঠাগার না হলেও একটি আদর্শ বুকশেলফ থাকা উচিত যাতে পরিবারের সকলের প্রবেশাধিকার থাকবে। বৈঠকখানা কক্ষে পরিবার প্রধানের কিছু পুস্তক থাকা উচিত যাতে মেহমানবৃন্দ উপকার পেতে পারেন। শোবার ঘরে তাঁর নিজের এবং স্ত্রীর জন্য এবং সন্তানদের ঘরে শিশুতোষ পুস্তক থাকবে, যাতে শিশু এবং বয়স্কদের বিষয়ভিত্তিক সাজানো থাকবে যাতে সহজে তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। একটি আদর্শ বুকশেলফে নিম্নলিখিত পুস্তকাদি থাকবে-
তাফসীর: তাফসীরে ইবনে কাসীর, তাফসীরে ইবনে সা'দী, তাফহীমুল কুরআন, জবদাতুত তাফসীর, ইবনুল কাইউম-এর বাদায়িউত তাফসীর, তাফসীর ফী জিলালিল কুরআন, উসুলুত তাফসীর, আলফাওসুল কাবীর, মায়ারেফুল কুরআন ইত্যাদি।

হাদীস (সুল্লাহ): সহীহ আল-কালিম আত্মাইযিল, আমালুল মুসলিম ফিল ইয়াওমি ওয়াল লাইলি (রাত-দিনের আমল), রিয়াদুস সালেহীন, (সহীহ বুখারী, সহীহ আল মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ, নুখবাতুল ফিকর, বাংলা ভাষায় প্রকাশিত রাহে আমল, ইস্তেখাবে হাদীস, লুলু আল মারজান (বুখারী ও মুসলিম হাদীস সংকলিত) ইত্যাদি।
আকিদা সংক্রান্ত: ফাতহুল মাজীদ শারহ কিতাবুত তাওহীদ, শারহ আকীদাতুত তাহাবীয়া, শারহ আকাইয়্যেদ নাসাফীয়‍্যা, আশশিরক, ইলমুল কালাম, আল-কালাম। ইত্যাদি।

পারিবারিক ঝগড়া শিশুদের সামনে হওয়া উচিত নয়

এটা একেবারেই দুষ্প্রাপ্য যে পরিবারে ঝগড়া-ঝাটি নেই; এমতাবস্থায় মিমাংসা করে নেয়াটা ভালো উদ্যোগ, সত্যের সাথে থাকে কল্যাণ। তবে শিশুদের সামনে পিতা-মাতার ঝগড়া চালিয়ে যাওয়া ক্ষতিকর। ফলে পরিবারের সদস্যগণ দুই বা ততোধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে। কেউ পিতা, অন্যরা মাতাকে সমর্থন করতে পারে। এমতাবস্থায় দেশের মতো পরিবারে রাজনৈতিক বিভাজন দেখা দিতে পারে এ অবস্থায় শিশুরা সাধারণতঃ মনস্তাত্ত্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন অবস্থার কথা ভাবুন। যেখানে পিতা তার সন্তানকে বলে তোমার মায়ের সঙ্গে কথা বলবে না। আবার মা বলে, তোমার পিতার সঙ্গে কথা বলবে না। অবশ্যই এ অবস্থায় শিশুরা উভয় সংকটে পড়বে এবং বিভক্তির শিকার হবে। পরিবারে এ ধরনের ঝগড়া এড়িয়ে চলা উচিত, যদি ঘটেও তা হলে তা অবশ্যই শিশুদের চোখের আড়ালে ঘটাতে হবে।

শিশুদের সামনে ঝগড়া করলে তাদের মেধার উপর যে কী পরিমাণ চাপ পড়ে তা কল্পনাও করতে পারবেন না আপনি। তাদের মেধা নষ্ট করার প্রধান ক্ষতিকর দায়িত্বশীল হলেন তার পিতা-মাতা, আপনাকে যদি ঝগড়া করতেই হয় তাহলে ছেলে মেয়ে স্কুল বা মাদরাসায় পাঠিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঝগড়া করুন। তাহলে তাদের মেধার কোনো ক্ষতি হবে না। প্লিজ ঝগড়া করবেন না তাহলে রহমত আসবে।

pdf book download জাতি গঠনে আদর্শ মা jati gothone adorsho ma

pdf book download জাতি গঠনে আদর্শ মা jati gothone adorsho ma

jati gothone adorsho ma
জাতি গঠনে আদর্শ মা জাবেদ মুহাম্মাদ
প্রকাশনীঃ আহসান পাবলিকেশন
বইয়ের সাইজঃ ৩-এমবি
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২০৬
বইয়ের ফরম্যাট পিডিএফ ই-বুক
বিভাগঃ পারিবারিক জীবন
কৃতজ্ঞতায়ঃ বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার

কিভাবে মনে সুন্দরের ভুবন বা অনুভূতি সৃষ্টি হবে? —আদর্শিক জ্ঞান, বিবেক-বিবেচনা, আদব-কায়দা, মন-মানসিকতা, মনন, মনীষা, মহত্ত্ব, মনোযোগ, মহব্বত, অনুভূতি, ঔদার্য, আশা, অভিলাষ, অভিপ্রায়, অভিরুচি, অমায়িকতা, অন্তরঙ্গতা, প্রসন্নতা, প্রাণাবেগ, প্রাণবন্ততা, সৌজন্য, সুরুচি, সুধারণা, সুবাসনা, শিষ্টতা, শালীনতা, সদিচ্ছা, সংযম, সহানুভূতি, শ্রদ্ধাবোধ, সহজতা, সজীবতা, সরলতা, সচেতনতা, সমঝোতা, সহমর্মিতা, সত্যবাদিতা, সংবেদনশীলতা, সহৃদয়তা, হৃদ্যতা, স্বতঃস্ফূর্ততা, সততা, স্বকীয়তা, উদারতা, বন্ধু সুলভতা, কৃতজ্ঞতা, সভ্যতা, শ্লীলতাবোধ, দয়া-মায়া, মানবিকতা, বদান্যতা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, স্নেহপরায়ণতা ও কল্যাণকামিতা ইত্যাদি। এভাবে মনে যে যত বেশি ভুবন সৃষ্টি করতে পারবেন, যার দৃষ্টিভঙ্গী যতটা স্বচ্ছ ও আদর্শিক ধ্যান-ধারণায় গড়ে তুলতে পারবেন, আপনি উপহার দিতে পারবেন সুন্দর সুন্দর কল্যাণকামী কথা। যার সুফল, সুবাতাস ভোগ করবে গোটা সমাজের লোকজন। ফেলবে স্বস্তির নিশ্বাস। জ্ঞাপন করবে শুকরিয়া, মাথা নত করবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালার কাছে, তবেই গড়ে উঠবে সুখী কল্যাণকামী ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র।

মা-আদর্শ মা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। আপনার সম্মান-মর্যাদা যেমন অনেক বেশি তেমন আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্যও অনেক বেশি। আপনার সন্তানদেরকে এমন কথা বলা শিক্ষা দিয়ে আপনাকেই গড়তে হবে। সমাধান খুঁজে নিতে হবে আপনাকেও কুরআনের বাণী থেকেই। কী নিয়ে এত অস্থিরতা! এত টেনশন! এত ঝামেলা পোহাচ্ছেন? অসুস্থ হয়ে পড়ছেন? বুকের ব্যথা বাড়ছে! শরীর সরু হয়ে যাচ্ছে! মাথা ঘুরছে। ব্যস্ততা বাড়ছে! কিসের মায়ায়? নামাজ পড়তে পারছেন না, কুরআন অধ্যয়ন করতে পারছেন না, সেদিনের কথা একটু ভাবুন! যেদিন আপনাকে আপনার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। কী দরকার অসুন্দর, অসত্য ও মন্দ কথা বলে নিজের মান-মর্যাদা, সম্মানকে প্রশ্নাতীত করার বরং আমরা আপনাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতায়ালা এবং রাসূল (সা.) যে আসনে আসীন করার কথা ঘোষণা দিয়েছেন সেখানেই দেখতে চাই। জগতের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক আপনি, শুধু নিজ পরিবার নয় জগত সংসারের জন্যও আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে। আপনার মর্যাদা যেমন বেশি তেমনি দায়িত্বও বেশি। আর এ দায়িত্ব পালন শুরু করতে হয় সুন্দর কথা, সুন্দর নির্দেশনা, উপদেশ-আদেশ ইত্যাদির অকিদ প্রদানের মাধ্যমে।

আপনি, তুমি, তুই

বড়দের সাথে কথোপকথনে শ্রদ্ধার নির্দশন স্বরূপ আপনি শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি মার্জিত, ভদ্র, নম্র ও বিনয়ীভাব প্রকাশ করে থাকে। তুমি শব্দটি সমবয়সী থেকে শুরু করে ছোট শিশুদের সাথে কথোপকথনে ব্যবহার করা যায়, এতেও ভদ্র ভাব প্রকাশিত হতে পারে। কিন্তু তুই শব্দটি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য অর্থে ব্যবহার করা হয়। অসম্মান অর্থে ব্যবহার করা হয়। এটি কেউ শুনতে চায় না। এমনকি আপনার ৩/৪/৫ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের সাথে কেউ যদি হঠাৎ করে তুই তুই বলে কথা বলে, আপনি গভীরভাবে ওদের মুখমণ্ডলের দিকে তাকালে দেখবেন কালো ছাপ পড়ে গেছে। সে আত্মসম্মানবোধ ঠিকভাবে না বুঝলেও এটি বুঝে যে তাদের সাথে সুন্দর করে কথা বলা হচ্ছে না, এমন অনেক শুনা যায়, স্যার শিক্ষার্থীদের সাথে তুই শব্দ যোগে কথা বলায় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ প্রকাশ করে বলেছে এই স্যারের কাছে পড়ব না। কারণ, স্যার কথা বলে কেমন যেন বা গাইয়া..... গাইয়া ইত্যাদি। কী অসম্মানজনিত কথা! আপনি ২০/২১ বছর পড়ালেখা করে শিক্ষক হলেন আর ছোট স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা আপনার ভাষা প্রকাশের ভঙ্গী বা স্টাইল নিয়ে অভিযোগ করছে বা অপছন্দ করছে বা বলছে এই স্যার ভাল না, সুন্দর করে কথা বলে না, আদর করে কথা বলে না ইত্যাদি। বলুন! এ অবস্থায় আপনার মর্যাদা কোথায় গিয়ে থামল? জাতি গঠনে আদর্শ মা

আরও বই ডাউনলোড করুন
Pdf Book নেক আমল বিধ্বংসী বদ আমল সমূহ - মাসুদা সুলতানা রুমী ডাউনলোড
কুরআন হাদিসের আলোকে শহীদ কারা pdf ডাউনলোড
আল কুরআনের আলোকে শিরক ও তওহীদ ডাউনলোড

সুন্দর করে কথা বলা হতে পারে আপনার নিজেকে গ্রহণযোগ্য বা নিজের কথাকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার একটি মাধ্যম। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনীষীরা সবাই সুন্দর করে কথা বলতেন। তারা সুভাষী ছিলেন। আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত আদর্শই প্রচারিত

সত্য ও সুন্দর কথা বলা

হয়েছে, তা হয়েছে সুন্দর কথা দিয়ে। কারণ প্রতিটি ভাল কাজই মানুষের মন জয় করে করতে হয়। আর মানুষের মন জয় করার একটি মাধ্যম বা উপায় হলো সত্য ও সুন্দর কথা বলা। সুন্দর কথা শ্রোতার মনে আনন্দের প্লাবন সৃষ্টি করে একদিকে যেমন তার ভেতরের দুঃখ-কষ্ট ও হতাশা গুলোকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়, অন্যদিকে তার মধ্যে জন্ম দেয় শক্তিশালী ইতিবাচক এক আবেগ। ফলে পারস্পরিক সুসম্পর্ক গঠনের পাশাপাশি তার প্রতিটি কাজ হয়ে উঠে আনন্দময় স্বতঃস্ফূর্ত স্বাভাবিক প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর। আর মন্দ কথা ইতি টেনে আনতে পারে অনেক অতীত ভালবাসা, আদর-সোহাগ ও ভাল লাগার। কাজেই সুভাষী হওয়ার প্রতি আমাদের বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

ঘুষ ও দুর্নীতি

অন্যায় ও অবৈধভাবে কারো অর্থ-সম্পদ ভক্ষণ করার অন্যতম পন্থা হল ঘুষ। নিয়মবহির্ভূত কোন কাজ করে দেয়ার জন্য বা কোন কার্য সিদ্ধির জন্য কাউকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে যে অর্থ দেয়া হয় তাই ঘুষ। এ সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন:
لَعَنَ اللهُ الرَّشِي وَالْمُرْتَشِى .
"ঘুষদাতা ও গ্রহীতা উভয়ের প্রতি আল্লাহ তায়ালার লা'নত।"

জাতির ভাগ্যাকাশে দুর্ভাগ্যের ঘনঘটা, চারিধারে হতাশা আর ঘৃণা, এদেশের মানুষের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে বখশিশ বা খুশী করা (নতুন নামে) ঘুষ ও দুর্নীতি আজ সকল উন্নয়নের চাকাকে স্তিমিত করে দিচ্ছে। জন্ম, বিয়ে, মৃত্যু এ তিনটি কাজ বা অবস্থা আল্লাহর হুকুম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এদেশে একজন মানব শিশুর জন্ম নিবন্ধন করার সময় নিবন্ধনকারী 'শোকর আলহামদুলিল্লাহ বলে এমন খুশীর সংবাদে আমাদেরকে কিছু বখশিশ দেবেন না, মিষ্টি খাওয়াবেন না-একথা বলে থাকেন। ফলে সর্বস্তরের মানুষ জন্ম নিবন্ধন করতে যেতে চায় না। বিয়ে নিবন্ধন রাষ্ট্রের বাধ্যতামূলক আইন যা করতে গেলেও বিয়ের আসরে কাজীর যাওয়া-আসা, খাওয়া-দাওয়াসহ তাদের ভাষায় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি দেওয়ার পরও বখশিশ খুঁজে নেওয়ার প্রবণতা সত্যিই লজ্জাকর বিষয়। আর লজ্জা বিষয়টি ঢেকে রাখা ঈমানের অঙ্গ।

এর সাথে মুসলমানিত্বের সম্পর্ক; এভাবে চেয়ে নেওয়াটা ঘুষের সাথেই তুল্য। প্রত্যেক জীবকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমাদের দেশে মৃত্যু নিবন্ধন এবং বিশেষ প্রয়োজনে সার্টিফিকেট গ্রহণের ক্ষেত্রেও টাকা লওয়া অর্থাৎ আল্লাহ নিয়ন্ত্রিত এ তিনটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত টাকার অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ প্রকারান্তরে ঘুষ ও দুর্নীতিরই নামান্তর। (কেহ কেহ হয়তোবা এগুলোতে অতিরিক্ত টাকা নেন না তাদের কথা ভিন্ন) ঘুষ ছাড়া এদেশে কোন কাজই চলে না। অথচ এমন ঘুষ সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে দিয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনে ইরশাদ করেন:
وَلَا تَأْكُلُوا مُوَالَكُمُ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ وَتَدُلُّوبِهَا إِلَى الْحَكَامِ لِتَا كُلُوا فَرِيقًا مِنْ أَمْوَالَ النَّاسِ بِالْإِثْمِ وَانْتُمْ تَعْلَمُونَ -
"তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ গ্রাস করো না এবং জনগণের সম্পদের কিয়দাংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে শাসন কর্তৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।" (সূরা বাকারা: ১৮৮)

pdf ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ islamer dristite jonmo niyontron - মওদূদী

pdf ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ islamer dristite jonmo niyontron - মওদূদী

islamer dristite jonmo niyontron
ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী
প্রকাশনীঃ আধুনিক প্রকাশনী
বইয়ের সাইজঃ ২-এমবি
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৪৩
বইয়ের ফরম্যাট পিডিএফ ই-বুক
বিভাগঃ পারিবারিক জীবন
কৃতজ্ঞতায়ঃ বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার

জন্মনিরোধের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে বংশ বৃদ্ধির প্রতিরোধ। প্রাচীনকালে এতদুদ্দেশ্যে আজল, গর্ভপাত, শিশুহত্যা ও ব্রহ্মচর্য (অবিবাহিত থাকা অথবা স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলন পরিহার করা) অবলম্বন করা হতো। আজকাল শেষের দুটি ব্যবস্থা পরিত্যাগ করা হয়েছে এবং এদের পরিবর্তে এমন নয়া পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে, যাতে করে যৌন মিলন বহাল রেখে ঔষধ অথবা উপকরণাদির দ্বারা গর্ভসঞ্চারের পথ বন্ধ করে দেয়া যায়। ইউরোপ ও আমেরিকায় গর্ভপাতের ব্যবস্থা এখনও প্রচলিত আছে। কিন্তু জন্মনিরোধ আন্দোলন শুধু গর্ভ সঞ্চার বন্ধ কারার প্রতিই গুরুত্ব আরোপ করে। এ আন্দোলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এ বিষয়-সম্পর্কিত তথ্যাবলী ও উপায়-উপাদান ব্যাপক হারে সমাজে ছড়ানো, যেন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারী এর সুবিধা ভোগ করতে পারে।

আন্দোলনের সূচনা

ইউরোপে ঈসায়ী আঠারো শতকের শেষাংশে এ আন্দোলনের সূচনা হয়। সম্ভবত ইংলন্ডের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ম্যালথ্যাস-ই (Malthus) এর ভিত্তি রচনা করেন। সে সময় ইংরেজদের প্রাচুর্যময় জীবন যাপনের ফলে জনসংখ্যা দ্রুতগতিতে বেড়ে চলে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চ হার দেখে মিঃ ম্যালথ্যাস হিসাব করতে শুরু করেন যে, পৃথিবীর আবাদযোগ্য জমি ও অর্থনৈতিক উপায়-উপাদান সীমিত। কিন্তু বংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা সীমাহীন। যদি স্বাভাবিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাহলে পৃথিবীর বর্ধিত জনসংখ্যার তুলনায় সংকীর্ণ হয়ে যাবে-অর্থনৈতিক উপকরণাদি, তখন মানুষের ভরণপোষণের তার বইতে পারবে না এবং মানুষের সংখ্যা বেশী হয়ে যাবার ফলে জীবন যাত্রার মান নিম্নগামী হয়ে যাবে।

সূতরাং মানব জাতির স্বাচ্ছন্দ্য, আরাম, কল্যাণ ও শান্তির জন্যে মানব বংশ বৃদ্ধির হারকে অর্থনৈতিক উপাদান বৃদ্ধির সংগে সংগতি রক্ষা করে চলতে হবে। জনসংখ্যা যেন কখনও অর্থনৈতিক উপাদানের উর্ধ্বে যেতে না পারে। মোটামুটি এ-ই হচ্ছে ম্যাসখ্যাসের প্রস্তাব। এতদুদ্দেশ্যে তিনি ব্রহ্মচর্যের প্রাচীন প্রথাকে পূনর্জীবিত করার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থাৎ তাঁর মতে অধিক বয়সে বিয়ে করতে হবে এবং স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনে যথেষ্ট সংযম অবলম্বন করতে হবে। ১৭৯৮ সালে মিঃ ম্যালথ্যাস জনসংখ্যা ও সমাজের ভবিষ্যত উন্নয়নে এর প্রভাব (An Essay on Population and as it effects, the future Improvement of the Society) নামক পুস্তকে সর্বপ্রথম এ মতবাদ প্রচার করেন। এরপর ফ্রান্সিস প্ল্যাস (Francis Place) ফরাসী দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করার প্রতি জোর দেন।p কিন্তু তিনি নৈতিক উপায় বাদ দিয়ে ঔষধ ও যন্ত্রাদির সাহায্যে গর্ভ নিরো প্রস্তাব দেন। ইসলামের দৃষ্টিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ

নারীদের অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা

উপরোল্লিখিত অবস্থাগুলোর দরুন নারীদেরও নিজ নিজ ব্যয়ভার বহন করতে বাধ্য হতে হয় এবং পরিবারের উপার্জনশীলদের মধ্যে তাদেরও শামিল হতে হয়। সমাজের প্রাচীন প্রথা মুতাবিক পুরুষের উপার্জন করা এবং নারীর গৃহকর্মে নিযুক্ত থাকার কর্মবন্টন ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যায়। নারীগণ অফিস ও কারখানায় চাকরী করার। জন্যে হাজির হয়। আর জীবিকা উপার্জনের দায়িত্ব গ্রহণের পর সন্তান জন্মানো ও তার প্রতিপালনের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করা তার পক্ষে আর সম্ভব হয় না। যে নারী নিজের প্রয়োজন পূরণ ও ঘরের বাজেটে নিজের অংশ দান করতে বাধ্য হয় তার পক্ষে সন্তান জন্মানো কি করে সম্ভব? অনেক নারীই গর্ভাবস্থায় ঘরের বাইরে দৈহিক বা মানসিক শ্রম করার অযোগ্য হয়ে যায়, বিশেষত গর্ভকালের শেষাংশে তো ছুটি গ্রহণ তার জন্যে অপরিহার্য। পুনঃসন্তান প্রসবকালে ও তার পরবর্তী কিছুদিন সে কাজ-কর্ম করার যোগ্য থাকে না। তারপর শিশুকে দুধ পান করানো এবং অন্তত তিন বছর পর্যন্ত তার প্রতিপালন, দেখাশোনা, শিক্ষা দানের কাজ চাকরীর অবস্থায়

জন্ম নিয়ন্ত্রণের কুফল

বিগত ১০০ বছরের অভিজ্ঞতায় জন্মনিয়ন্ত্রণের যেসব ফলাফল দেখা দিয়েছে তাও আলোচনা করা দরকার। যে আন্দোলন বিভিন্ন দেশ ও জাতির মধ্যে দ্রুতগতিতে প্রসার লাভ করেছে এবং যার ফলাফল বরাবর অভিজ্ঞতায় ধরা পড়েছে তার ভাল-মন্দ সম্পর্কে মতামত গঠন করার জন্যে একশত বছরের অভিজ্ঞতাই যথেষ্ট। জন্মনিয়ন্ত্রণকারী দেশগুলোর মধ্যে ইংলণ্ড ও আমেরিকাকে আদর্শ দেশ হিসেবে গ্রহণ করা যায়। কেননা, আমাদের নিকট অন্যান্য দেশের তুলনায় এ দু'দেশে সমৃদ্ধি ও তথ্য অনেক বেশী পরিমাণে আছে। আর অন্যান্য দেশের সঙ্গে এ দু'দেশের পার্থক্যও খুব বেশী নয়।

বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যস্থিত ভারসাম্য নষ্ট

ইংলণ্ডের রেজিষ্টার জেনারেলের রিপোর্ট, ন্যাশনাল বার্থ কন্ট্রোল কমিশনের অনুসন্ধান এবং জনসংখ্যা সম্পর্কিত রয়েল কমিশনের রিপোর্ট দেখে জানা যায় যে, উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যেই জন্মনিয়ন্ত্রণ সব চাইতে বেশী প্রচলিত। বেশীর ভাগই উচ্চ বেতন ভোগী কর্মচারী, উচ্চ শিক্ষিত ব্যবসায়ী, মধ্যবিত্ত সচ্ছল লোক এবং ধনী, শাসক, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিগণই জন্মনিরোধ অভ্যাস করে থাকে। আর নিম্ন শ্রেণীর মজুর ও শ্রম পেশা লোকদের মধ্যে জন্মনিরোধ প্রথা না থাকারই শামিল। এদের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়নি, এদের মনে উচ্চাশাও নেই এবং ধনীদের মত জাঁক-জমকপূর্ণ সামাজিকতার প্রতিও এদের কোন লোভ নেই। এদের সমাজে এখনও পুরুষ উপার্জনকারী এবং নারী গৃহকত্রী।

আরও বই ডাউনলোড করুন
তাফসীরে জালাালাইনের সকল খন্ড একত্রে ডাউনলোড! ডাউনলোড
ইসলামে সামাজিক সুবিচার - islame shamajik subicher pdf ডাউনলোড
চার ইমামের জীবনকথা (char imamer jibonkotha pdf) ডাউনলোড

এ প্রাচীন প্রথাই এখনো এখানে প্রচলিত আছে। আর এ কারণেই এরা আর্থিক অসচ্ছলতা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অগ্নি মূল্য এবং গৃহসমস্যা সত্ত্বেও জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন বোধ করে না। এদের মধ্যে জন্মহার হচ্ছে প্রতি হাজারে ৪০ জন। অপর দিকে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে জন্মহার এত কমে গিয়েছে যে, ইংল্যান্ডের মোট জন্মহার ১৯৫৪ সালে হাজার প্রতি ১৫৫.৩ জন ছিল। কায়িক পরিশ্রমকারীদের পরিবারগুলো বৃহদাকৃতির। সাম্প্রতিক সংখ্যাতত্ত্ব থেকে জানা যায় যে, ১৯০০ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে যেসব বিয়ে হয়েছে তার মধ্যে, শ্রমিক পরিবারগুলোর শতকরা ৪০টিই হচ্ছে বড় পরিবার।

pdf islami ইসলামের জীবন পদ্ধতি islamer jibon poddhoti

pdf islami ইসলামের জীবন পদ্ধতি islamer jibon poddhoti

book cover ইসলামের জীবন পদ্ধতি
ইসলামের জীবন পদ্ধতি সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী
প্রকাশনীঃ আধুনিক প্রকাশনী
বইয়ের সাইজঃ ১-এমবি
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৮
বইয়ের ফরম্যাট পিডিএফ ই-বুক
বিভাগঃ ইসলামী জীবন ব্যবস্থা
কৃতজ্ঞতায়ঃ বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার

মানুষের প্রকৃতিতে চরিত্রের অনুভূতি একটা স্বাভাবিক অনুভূতি। এটা এক প্রকারের গুণ ও কাজকে পসন্দ করে এবং আর এক প্রকারের গুণ ও কাজকে করে অপসন্দ। এ অনুভূতি ব্যক্তিগতভাবে মানুষের মধ্যে কমও হতে পারে, বেশীও হতে পারে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে মানবতার তীব্র চেতনা চরিত্রের কোনো কোনো গুণকে ভাল এবং কোনো কোনো গুণকে মন্দ বলে চিরদিন একইরূপে অভিহিত করেছে। সততা, সুবিচার, ওয়াদাপূর্ণ করা এবং বিশ্বাসপরায়ণতাকে চিরদিন মানব চরিত্রের প্রশংসনীয় গুণ বলে মনে করা হয়েছে। মিথ্যা, যুলুম, প্রতিশ্রুতি ভংগ করা ও বিশ্বাসঘাতকতাকে মানবেতিহাসের কোনো যুগেই পসন্দ করা হয়নি। সহানুভূতি, দয়া, দানশীলতা এবং উদারতাকে চিরদিনই সম্মান করা হয়েছে।

পক্ষান্তরে স্বার্থপরতা, নিষ্ঠুরতা, কৃপণতা ও সংকীর্ণ দৃষ্টিকে কোনো দিনই মর্যাদা দান করা হয়নি। ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, দৃঢ়তা ও আদর্শ পরায়ণতা এবং বীরত্ব ও উচ্চ আশা চিরদিনই শ্রদ্ধা পাবার উপযুক্ত গুণ হিসেবে গণ্য হয়েছে। পক্ষান্তরে অস্থিরতা, নীচতা, খোশামোদী, হীন মনোবৃত্তি ও কাপুরুষতাকে কোনো দিনই অভিনন্দিত ক করা হয়নি। আত্মসংযম, আত্মসম্মান, জ্ঞান, নিয়মানুবর্তিতা ও অকপট মেলামেশাকে চিরদিনই মানুষের বৈশিষ্ট্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং প্রবৃত্তির গোলামী, অশালীন আচরণ, সংকীর্ণতা, বে-আদবী ও কুটিল মনোবৃত্তি মানব চরিত্রের বৈশিষ্ট্যের তালিকায় কোনো দিনই স্থান পায়নি। কর্তব্যপরায়ণতা, প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা, কর্মপটুতা এবং দায়িত্ববোধ চিরদিনই সম্মান পেয়ে এসেছে। কিন্তু কর্তব্য সম্পর্কে উদাসীন, দায়িত্বজ্ঞানহীন, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী ও কর্মবিমুখ মানুষকে কোনোদিনই সুনজরে দেখা হয়নি। এভাবে সমাজ জীবনের ভাল ও মন্দ গুণাবলী সম্পর্কেও মানবতার সিদ্ধান্ত চিরকাল প্রায় একই প্রকারের রয়েছে।

সৎকাজের প্রেরণা

বিশ্ব প্রকৃতি ও মানব সম্পর্কে ইসলামের এ ধারণা মানব হৃদয়ে এমন এক দুর্নিবার আবেগ সৃষ্টি করে যা চারিত্রিক আইন-কানুন পালন করার জন্য মানুষকে নিরন্তর অনুপ্রাণিত করতে থাকে। মানুষ যখন নিজ ইচ্ছাতেই আল্লাহকে আল্লাহ বলে এবং তাঁর দাসত্ব করাকে জীবনের একমাত্র পথ বলে স্বীকার করে আর আল্লাহ তায়ালার সন্তোষ লাভ করাকেই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহণ করে তখনই সে নিজে অন্তরের আবেদনেই আল্লাহ তায়ালার হুকুম-আহকাম ও বিধি-নিষেধগুলো পালন করবে। এই সাথে পরকাল বিশ্বাসও একটা উদ্বোধক শক্তি। কারণ সে নিসন্দেহে বিশ্বাস করে যে, যে ব্যক্তিই আল্লাহ তায়ালার হুকুম-আহকাম অনুসরণ করবে, দুনিয়ার এ অস্থায়ী জীবনে তাকে যতই দুঃখ-কষ্ট ভোগ করতে এবং অভাব-অভিযোগ ও নির্যাতন-নিপীড়নের সম্মুখীন হতে হোক না কেন। পরকালে তার চিরস্থায়ী জীবনে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যত লাভ সম্পর্কে কোনো সন্দেহ নেই।

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি এ দুনিয়ায় আল্লাহ তায়ালার অবাধ্য হবে, দুনিয়ায় এ সংক্ষিপ্ত জীবনে সে যতই আনন্দ স্ফূর্তি ও আয়েশ-আরাম লাভ করুক না কেন পরকালে তাকে চিরস্থায়ী শাস্তি ভোগ করতে হবে, তাতে সন্দেহ নেই। বস্তুত এ আশা, এ ভয় এবং বিশ্বাস কোনো মানুষের মনে যদি বদ্ধমূল হতে পারে, তবে তার অন্তর্নিহিত এ বিরাট উদ্বোধক শক্তি তাকে এমন সব স্থানে পুণ্যের কাজে উদ্বুদ্ধ করতে পারে যেখানে পুণ্যের পার্থিব ফল মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে এবং এমন সময়ও তাকে পাপ ও অন্যায় কাজ হতে বিরত রাখতে পারে, যখন এ পাপের কাজ খুবই লাভজনক ও লোভনীয় হয়ে দাঁড়াবে।

ভাল-মন্দের পরিচয়

এর দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য এই যে, এটা শুধু অবাস্তব কল্পনার সাহয্যে কতগুলো আশ্চর্য ধরনের চরিত্রনীতি ঠিক করেনি এবং মানুষের সর্ববাদী সমর্থিত চরিত্রনীতির এক অংশের মূল্য কম এবং অপর অংশের মূল্য বেশী দেখাবার চেষ্টাও এটা করেনি। ইসলাম এমন সব জিনিসকে চরিত্রের অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা দুনিয়ার সকল মানুষের দ্বারাই সমর্থিত এবং এর কিছুটা অংশ নিয়েই যথেষ্ট মনে করা হয়নি বরং এর সবটুকুকেই সে নিজের নীতি বলে গ্রহণ করেছে। তারপর একটা পরিপূর্ণ সামঞ্জস্য ও পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার সাথে মানুষের জীবনে তার একটা স্থান, একটা মর্যাদা এবং একটা সুস্পষ্ট ব্যবহার ক্ষেত্র নির্দিষ্ট করেছে। ইসলাম এর ব্যাপক চরিত্রনীতিকে মানব জীবনে এমন সামঞ্জস্যের সাথে প্রযুক্ত করেছে যে, ব্যক্তিগত কাজ-কারবার, পারিবারিক সম্পর্ক, নাগরিক জীবন, আভ্যন্তরীণ রাজনীতি, অর্থনৈতিক আদান-প্রদান, ইসলামের জীবন পদ্ধতি

আরও বই ডাউনলোড করুন
আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ ও ইসলাম - মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান pdf ডাউনলোড
কুরআন হাদীসের আলোকে মরণ ব্যাধি দূর্নীতি pdf ডাউনলোড
আপনাদের প্রশ্নের জবাব ১-৩ খন্ড পিডিএফ বই ডাউনলোড ডাউনলোড

বাজার-বন্দর-শিক্ষাগার, আদালত ফৌজদারী, পুলিশ লাইন, সেনানিবাস, যুদ্ধের ময়দান, স্বস্তি পরিষদ- মোটকথা মানব জীবনের প্রত্যেকটি দিক ও বিভাগের উপর ইসলামের ব্যাপক চরিত্রনীতির সুস্পষ্ট প্রভাব বর্তমান। মানব জীবনের প্রত্যেকটি দিক ও বিভাগের উপর ইসলাম স্বীয় চরিত্রনীতিকেই একমাত্র 'শাসক' নিযুক্ত করেছে এবং জীবনের যাবতীয় কাজ-কারবারের চাবিকাঠি প্রবৃত্তি, স্বার্থবাদ এবং সুবিধাবাদের পরিবর্তে, চরিত্রের হাতে ন্যস্ত করাই ইসলামের ঐকান্তিক চেষ্টা।

ইসলামের সমাজব্যবস্থা

দুনিয়ার সমস্ত মানুষ একই বংশোদ্ভূত"-এ মতের উপরই ইসলামী সমাজব্যবস্থার বুনিয়াদ স্থাপিত হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম একজোড়া মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, তারপরে সেই জোড়া হতে দুনিয়ার সকল মানুষের জন্ম হয়েছে। প্রথম দিক দিয়ে একজোড়া মানুষের সন্তানগণ দীর্ঘকাল পর্যন্ত একই দল ও একই সমাজের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাদের জীবনযাপনের পদ্ধতি একই প্রকারের ছিল; তাদের ভাষাও ছিল এক। কোনো প্রকার বিরোধ-বৈষম্য তাদের মধ্যে ছিল না। কিন্তু তাদের সংখ্যা যতই বৃদ্ধি পেতে লাগল ততই তারা পৃথিবীর নানাদিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগল এবং এ বিস্তৃতির ফলে তারা অতি স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন বংশ, জাতি ও গোত্রে বিভক্ত হয়ে পড়ল। তাদের ভাষা বিভিন্ন হয়ে গেল, পোশাক-পরিচ্ছেদের দিক দিয়ে অনেক বৈষম্য ও বৈচিত্র দেখা দিল।

দৈনন্দিন জীবনযাপনের রীতিনীতিও আলাদা হয়ে গেল এবং বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন আবহাওয়ায় তাদের রং, রূপ ও আকার-আকৃতি পর্যন্ত বদলিয়ে গেল। এসব পার্থক্য একেবারেই স্বাভাবিক, বাস্তব দুনিয়ায়ই এটা বর্তমান। কাজেই ইসলামও এসবকে ঠিক একটা বাস্তব ঘটনা হিসেবেই গ্রহণ করেছে। ইসলাম এসবকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবার পক্ষপাতি নয়, বরং এসবের দ্বারা মানব সমাজে পারস্পরিক পরিচয় লাভ করা যায় বলে ইসলাম এগুলোকে স্বীকার করে নিয়েছে। কিন্তু পার্থক্য-বৈষম্যের উপর ভিত্তি করে মানব সমাজে বর্ণ, বংশ, ভাষা, জাতীয়তা এবং স্বাদেশীকতার যে হিংসা-দ্বেষ উদ্বেলিত হয়ে উঠেছে, ইসলাম তা কিছুতেই সমর্থন করতে পারে না, এর দৃষ্টিতে এটা সম্পূর্ণরূপেই ভুল। মানুষ এবং মানুষের মধ্যে শুধু জন্মের ভিত্তিতে উচ্চ-নীচ, আশরাফ-আতরাফ এবং আপন-পরের যে পার্থক্য করা হয়েছে, ইসলামের দৃষ্টিতে তা একেবারেই জাহেলিয়াত, একেবারেই মূর্খতাব্যঞ্জক। ইসলাম সমস্ত দুনিয়ার মানুষকে সম্বোধন করে বলে যে, তোমরা সকলেই এক মাতা ও এক পিতার সন্তান, তোমরা পরস্পর ভাই ভাই এবং মানুষ হওয়ার দিক দিয়ে তোমরা সকলেই সমান।

 pdf book ইসলামের জীবন চিত্র islamer jibon chitro

pdf book ইসলামের জীবন চিত্র islamer jibon chitro

ইসলামের জীবন চিত্র
ইসলামের জীবন চিত্র নসরুল্লাহ খান আযীয
প্রকাশনীঃ প্রবাল প্রকাশন লিঃ
বইয়ের সাইজঃ ২-এমবি
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১০৬
বইয়ের ফরম্যাট পিডিএফ ই-বুক
বিভাগঃ ইসলামী জীবন ব্যবস্থা
কৃতজ্ঞতায়ঃ বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার

মুমিন ব্যক্তি প্রতিটি কাজই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে করে থাকে। সাফল্য অর্জ'ন করলে সে জন্যে গর্ব করা এবং এ সফলতাকে নিজ চেষ্টা সাধনার ফল মনে করার পরিবর্তে আল্লাহ বারী তায়ালার দরবারে নত হয়ে শুকরিয়। জ্ঞাপন করে।

ইয়ারমুকের যুদ্ধ ইসলামী জেহাদের ইতিহাসে উজ্জল স্থান অধিকার করে আছে। রোমান বাহিনী বিরাট জৌলুস ও শান-শওকতের সাথে ময়দানে হাযির হয়। অপর পক্ষে ত্রিশ হাজার জানবাজ মুজাহিদ বিজয় অথবা শাহাদাতের শপথ নিয়ে পায়ে বেড়ী পরে ময়দানে জংএ হাযির হন, যাতে ময়দান থেকে ভেগে যাবার চিন্তাও মনে না আসে।

হাজার হাজার পাদ্রী আর বিশপ ক্রুশচিহ্ন হাতে নিয়ে ময়দানে হাযির হয়ে যায়। তার। হযরত ঈসা (আঃ) এর নাম নিয়ে সৈন্যদের উৎসাহ দিতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তুমুল যুদ্ধের পর সুসজ্জিত বিরাট রোমান বাহিনী মুজাহিদদের ঈমানী শক্তির মুকাবিলায় ময়দানে টিকে থাকতে পারেনি। সবই বেকার প্রমাণিত হলো। মুজাহিদদের খোদার প্রতি অবিচল আস্থা, ধৈর্য ও দৃঢ়তা রোমান বাহিনীর পায়ের নীচের মাটি সরিয়ে দেয়। যুদ্ধে প্রায় এক লাখ রোমান সৈন্য নিহত হয়। এ বিরাট বিজয়ের সংবাদ আমীরুল মুমিনীন হযরত ওমর ফারুকের কানে পৌঁছলে তিনি সিজদায় পড়ে আল্লার শুকরিয়। আদায় করেন।

খতমে নবুওয়াত

হযরত উমার ইবনে আবদুল আযীয (রাঃ) খেলাফত লাভের পর সর্বপ্রথম যে কাজ করলেন, তা হচ্ছে তিনি জনগণকে একত্রিত করে এক ভাষণ দিলেন। ভাষণে তিনি বললেন-"আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে খেলাফতের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার হাতে বায়াত করার বাধ্যবাধকতা আমি তোমাদের উপর থেকে প্রত্যাহার করলাম। আমি তোমাদের এ অধিকার দিচ্ছি যে, তোমর। যাকে ইচ্ছা খলীফা নির্বাচিত করে নাও।" কিন্তু উপস্থিত জনত। সমস্বরে বলে উঠলো: আমরা আপনাকেই খলীফা নির্বাচিত করলাম। আপনি আল্লার নাম নিয়ে খেলাফতের কাজ আঞ্জাম দিতে শুরু করুন।" ইসলামের জীবন চিত্র

আরও বই ডাউনলোড করুন
কুরআন হাদিসের আলোকে শহীদ কারা pdf ডাউনলোড
ইসলাম মানবতার ধর্ম bangla book pdf ডাউনলোড
মন্তব্য সম্বলিত বাইবেল ও কুরআনের আলোকে ডাউনলোড

জনগণ সর্বসম্মতভাবে তাঁকে খলীফা নির্বাচিত করার পর তিনি এক দীর্ঘ' ভাষণ দিলেন। ভাষণে তিনি আমীরের আনুগত্য এবং আনুগত্যের দায়িত্ব ও কর্তব্যের উপর আলোকপাত করেন। হামদ ও না'আতের পর তিনি বলেনঃ তোমাদের নবীর পরে আর কোনে। নবী নেই। তাঁর প্রতি যে কিতাব নাষিল হয়েছে, তার পরে আর কোনো কিতাব নাযিল হবেনা। আল্লাহ য। কিছ, হালাল করে দিয়েছেন, তা কিয়ামত পর্যন্ত হালাল থাকবে আর যা কিছ, হারাম করে দিয়েছেন, তাও কিয়ামত পর্যন্ত হারাম থাকবে। আমি নিজের পক্ষ থেকে কোনো ফায়সালা দানের অধিকারী নই। আমি একজন অনুসরণকারী মাত্র। এ অধিকার কারে। নেই যে, সে খোদার নাফরমানী করবে আর তার অনুগত্য করা হবে। আমি তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি নই। সকলের মতই একজন সাধারণ মানুষ। পার্থক্য এতটুকু যে, তোমাদের সকলের তুলনায় ভারী বোঝা আমার ঘাড়ে চাপানো হয়েছে।

নৈতিক চরিত্র ও পারস্পরিক সম্পর্ক

মুসলমান ব্যক্তি যখন কোনো নেক কাজ করে, তা করে শুধ, আল্লার সন্তোষ অর্জনের জন্যে। আমের ইবনে আবদুল্লাহ গাবারী একযুদ্ধে শরীক হন। আল্লাহ তায়ালা সে যুদ্ধে মুসলমানদের বিজয় দান করেন। যুদ্ধে একজন মশহর দুশমনের কন্য। মুসলমানদের হস্তগত হয়। লোকের। মেয়েটির রূপ-সৌন্দর্য ও গুণাগুণ বর্ণনা করলো। প্রশংসা শুনে আমের বললেনঃ "আমিও তো একজন পুরুষ, মেয়েটি আমাকে দিয়ে দাও।" তাঁর দুনিয়া-বিমুখতা ও খোদাভীতির কারণে লোকের। তাঁর এ অস্বাভাবিক আগ্রহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে মেয়েটি তাঁকেই দিয়ে দিলেন। মেয়েটি হস্তগত হবার পর তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন: "আল্লার ওয়াস্তে আমি তোমাকে আযাদ করে দিলাম।" ব্যাপারটি জানতে পেরে লোকেরা বললো: এমন একটি সুন্দরী রূপসীকে আপনি আযাদ করে দিলেন! এর পরিবর্তে অন্য কোনে। দাসীও তো আযাদ করতে পারতেন।"

আল্লার উপর তাওয়াক্কুল

মৃত্যুর পূর্বক্ষণে হযরত উমার ইবনে আবদুল আযীযকে মুসলিমা আরয করলেন:
"আমীরুল মুমিনীন! আপনি আপনার সন্তানদের ধনসম্পদ থেকে বঞ্চিত রেখেছেন আর এমন অবস্থায় এখন তাদের ফেলে যাচ্ছেন যে, তাদের নিকট কিছুই নেই। কতইনা ভালো হতো, আপনার সন্তানদের প্রতি লক্ষ্য রাখার জন্যে যদি আমাকে বা অন্য কাউকেও অসীয়ত করে যেতেন।"
"আমাকে হেলান দিয়ে বসাও।" অত্যন্ত দুর্বল আওয়াযে হযরত উমার ইবনে আবদুল আযীয বললেন।

হেলান দিয়ে বসান হলে পরে তিনি বললেন:
"মুসলিমা! তুমি বলছে। আমি আমার সন্তানদের ধনসম্পদ থেকে বঞ্চিত রেখেছি। খোদার শপথ! আমি তাদের কোনো হক বা অধিকার নষ্ট করিনি। অবশ্য যে সম্পদে তাদের কোন অধিকার ছিলন। তা আমি তাদের দেইনি। অতঃপর তুমি বলেছো, আমি তোমাকে বা খান্দানের অন্য কাউকেও অসীয়ত করে যেতে। তবে শোনো! এ ব্যাপারে আমার অসী ও অভিভাবক এবং কর্মকর্তা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা, যিনি নেক্কারদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু। আমার সন্তানরা যদি খোদাকে ভয় করে, তবে খোদ। অবশ্যই তাদের জন্যে কোনো পথ তৈরী করে দেবেন। আর তারা যদি গুণাহে নিমজ্জিত হয়, তবে আমি তাদেরকে গুণাহের কাজে আরো শক্তিশালী করে যাবো না।