Pdf Book নেক আমল বিধ্বংসী বদ আমল সমূহ - মাসুদা সুলতানা রুমী

নেক আমল বিধ্বংসী বদ আমল সমূহ - মাসুদা সুলতানা রুমী PDF version download
nek amol bdhonshi bod amol shomuho
নেক আমল বিধ্বংসী বদ আমল সমূহ মাসুদা সুলতানা রুমী
প্রকাশনীঃ মমমা প্রকাশনী
বইয়ের সাইজঃ ১-এমবি
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৪
বইয়ের ফরম্যাট পিডিএফ ই-বুক
বিভাগঃ ইসলাম শিক্ষা
কৃতজ্ঞতায়ঃ বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার

বড় কবিরা গুনাহ কি?

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আল কুরআনের পাতায় পাতায় বড় বড় গুনাহ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। সেই গুনাহসমূহ আমাদের সমাজের মুসলিমেরা করে করে এমন অভ্যস্ত হয়ে গেছে যে এসব কাজকে বড় গুনাহ তো দূরের কথা যেন গুনাহই মনে করে না। যেমন-

  • ১. নামাযে অবহেলা করা
  • ২. যাকাত না দেয়া
  • ৩. বিনা ওজরে রমজানের রোজা ভংগ করা
  • ৪. সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ্ব না করা
  • ৫. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
  • ৬. ইয়াতিমের মাল আত্মসাৎ করা
  • ৭. গর্ব বা অহংকার করা
  • ৮. মিথ্যা কথা, মিথ্যা সাক্ষ্য ও মিথ্যা শপথ করা
  • ৯. মদ্যপান করা
  • ১০. তাহলিল বা হিলা বিবাহ করা বা দেওয়া
  • ১১. দুর্বল শ্রেণী বা কর্মচারীর সাথে খারাপ ব্যবহার করা
  • ১২. সৎ ও আল্লাভীরু বান্দাদের কষ্ট দেয়া
  • ১৩. মাপে বা ওজনে কম দেয়া
  • ১৪. ওয়ারিশকে ঠকানো
  • ১৫. ভবিষ্যত বক্তা বা জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করা
  • ১৬. পুরুষের স্বর্ণ ও রেশম ব্যবহার করা
  • ১৭. জুয়া খেলা।

উপরোক্ত কাজগুলো সবই বড় গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। যাকে বলে কবীরা গুনাহ। আমি চুরি, ডাকাতি, সুদ-ঘুষের কথা আমার এই তালিকায় লিখি নাই। কারণ এই কাজ চারটিকে সবাই খারাপ কাজ বলেই জানে এবং বিরত থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু যে বদ কাজগুলোর আমি তালিকা পেশ করেছি সে কাজগুলো আমাদের চরিত্রে যেন মিশে গেছে। এইসব কাজে অভ্যস্ত থেকেও মানুষ নিজেদেরকে মুসলিম বলে পরিচয় দেয়। মৃত্যুর পরে "আলা মিল্লাতি রাসূলুল্লাহ বলে কবরে শায়িত করে।

নামাযে অবহেলা করা

আমাদের দেশ ৯৮% মুসলমানের দেশ। এই ৯৮% এর মধ্যে হয় ৯০% মানুষই নামায পড়ে না। আর যারা পড়ে তাদের মধ্যে অনেকেই ঠিকমতো পড়ে না- সময় মতো পড়ে না নিয়ম মতো পড়ে না। যারা নামাজ পড়েনা তাদের মধ্যে কোনো অনুতাপ-অনুশোচনাও নেই। বরং কেউ কেউ তো বেশ দেমাগের সাথেই বলে 'নামাজ না পড়লে কি হবে ঈমান ঠিক আছে। অথচ রাসূল (সা.) বলেছেন, "মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নামাজ ত্যাগ করা।” (মুসলিম, আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী)

রাসূল (সা.) বলেন, 'যে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিল আল্লাহর যিম্মাদারী থেকে বের হয়ে গেল। তিনি আরো বলেন, "যে ব্যক্তির আসরের নামায ছুটে গেল, তার আমল নষ্ট হয়ে গেল।" মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা পবিত্র কুরআনে যতোবার নামাজ বা সালাতের নির্দেশ দিয়েছেন তা অন্যকোন ইবাদাতের জন্য দেন নি।
ওবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করে সময় মতো সালাত আদায় করে এবং রুকু সিজদায় খেয়াল রেখে মনোনিবেশের সাথে সালাত আদায় করে অবশ্যই আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন। আর যে তা করবে না তার অপরাধ মাফ করে দেওয়া সম্পর্কে আল্লাহর কোনো দায়িত্ব নেই। (আবু দাউদ)

যাকাত না দেওয়া

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা সালাতের (নামাজ) সাথে যাকাত ফরজ করেছেন। "আক্কিমুস সালাতা ওয়া আতুস যাকাতা।" সালাত (নামাজ) কায়েম কর এবং যাকাত আদায় করো।" আল কুরআনে আল্লাহ বার বার এই আদেশ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ যা করার আদেশ করেছেন তা পালন করা ফরজ, না করা কবীরা গুনাহ আর অস্বীকার করা হলো কুফরি করা।
অর্থাৎ যাকাত দেওয়া ফরজ। যাকাত না দেওয়া কবীরা গুনাহ। তারা যাকাত দিতে অস্বীকার করলে হবে কুফরী করা। কিন্তু আমাদের সমাজের অনেকেই যাকাত দেয় না। সরকার নির্ধারিত কর যেভাবে ফাঁকি দেয়, যাকাতও সেইভাবে ফাঁকি দিতে চায়।

আরও বই ডাউনলোড করুন
দৌড়াও আল্লাহর দিকে - অধ্যাপক মুজিবুর রহমান bangla Islami Book ডাউনলোড
তারীখে ইসলাম -মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান bangla pdf book ডাউনলোড
বুখারী শরীফ বাংলা অনুবাদ ১-১০ খন্ড পিডিএফ ডাউনলোড! ডাউনলোড

সামর্থ থাকা সত্ত্বেও হজ্ব না করা

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি কামনা বাসনা ও আল্লাহর নাফরমানী হতে বিরত থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ্ব করে সে যেন মাতৃগর্ভ হতে সন্তান যেমন নিষ্পাপ জন্মগ্রহণ করে, সেরূপ নিষ্পাপ হয়ে যায়। (বুখারী, মুসলিম) মহান আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা বলেন, "যে ব্যক্তি সেখানে পৌছার সামর্থ্য রাখে তারা যেন এ গৃহের হজ্ব সম্পন্ন করে। এটি তাদের ওপর আল্লাহর অধিকার।
(সূরা আলে ইমরান)

রাসূল (সা.) আরও বলেন: আল্লাহর ঘর বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌছে হজ্ব করার জন্য প্রয়োজনীয় বাহন ও পাথেয় যার আছে সে যদি হজ্ব না করে তবে ইহুদী, খ্রিষ্টান হয়ে মরুক তাতে আল্লাহর কিছু যায় আসে না। (মুসলিম)
হযরত হাসান (রা.) থেকে বর্ণিত আছে- উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেছেন: "আমার ইচ্ছা হয় এসব শহরে লোক পাঠিয়ে খবর নেই যারা সামর্থ থাকা সত্ত্বেও হজ্ব সমাপন করছে না তাদের উপর জিযিয়া ধার্য করি। ওরা মুসলিম নয়, ওরা মুসলিম নয়। (মুনতাকী)
মুসলিম শব্দের অর্থ হলো আল্লাহর উপর আত্মসমর্পণ করা। যদি কেউ প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর উপর আত্মসমর্পণ করেই থাকে, তাহলে হজ্বের ন্যায় মহান ইবাদত থেকে সে বিনা কারণে কি করে বিরত থাকতে পারে?


শেয়ার করুন