আপনাদের প্রশ্নের জবাব ১-৩ খন্ড পিডিএফ বই ডাউনলোড

আপনাদের প্রশ্নের জবাব ১-৩ খন্ড - ডা: ইউসুফ লুধিয়ানাবী
apnader proshner jobab all part PDF version
আপনাদের প্রশ্নের জবাব ডাইউসুফ লুধিয়ানাবী
প্রকাশনী বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার
ভার্চুয়াল সাইজ ১৩ এমবি
পৃষ্ঠা সংখ্যা ১-৩ খন্ড
বইয়ের ফরম্যাট পিডিএফ ই-বুক
বিভাগ ইসলামী জীবন ব্যবস্থা
কৃতজ্ঞতা বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার

মুক্তির জন্য কি ঈমান শর্ত?

প্রশ্ন-২: আমরা শুনেছি, আল্লাহ তা'আলা পরিশেষে ঐ সমস্ত লোকদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে নেবেন যাদের অন্তরে সরিষা পরিমাণ ঈমান থাকবে। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেছেন- আমি পছন্দ করিনা যে, মুশরিক ও তাওহীদবাদীরা একসাথে থাকবে। তাহলে বর্তমান ইহুদী এবং খৃস্টানদেরকেও কি জাহান্নাম থেকে বের করে নেয়া হবে? কারণ তারাও তো আল্লাহকে মানে। অবশ্য আমাদের রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মানেনা। তাছাড়া ঈসা (আ) ও ওজাইর (আ)-কে আল্লাহর পুত্র বলে বিশ্বাস করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইহুদী ও খৃস্টানগণ কি সরিষা পরিমাণ ঈমানের অধিকারী বলে গণ্য হবে? নাকি হবে না?
উত্তর: চিরস্থায়ী মুক্তির জন্য ঈমান শর্ত। কারণ কুফর এবং শিরকের গুনাহ আল্লাহ মাফ করবেন না। ঈমান শুদ্ধ হওয়ার জন্য শুধু আল্লাহকে মানাই যথেষ্ট নয় বরং তাঁর সকল নবী রাসূলকে মানাও শর্ত। কাজেই যারা হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে শেষ নবী মানবে না তারা মূলত আল্লাহর ওপরই ঈমান রাখেনা। কারণ আল্লাহ তা'আলা নিজেই তাঁকে নবী ও রাসূল হওয়ার ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন এবং তাঁকে খাতামুন নাবিয়‍্যীন আখ্যা দিয়েছেন। অতএব যে ব্যক্তি তাঁর নবুওয়াত ও রিসালাতের ওপর ঈমান আনবে না এবং তাকে শেষ নবী বলে বিশ্বাস করবেনা তার ঈমানের দাবী মিথ্যা। কারণ যে আল্লাহর কথাকেই মিথ্যা মনে করে, আল্লাহর ওপর ঈমান আনার কথা তার সাজে না। কাজেই নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওপর ঈমান আনা পরকালের মুক্তির অন্যতম শর্ত। অন্য কথায় অমুসলিমদের জন্য পরকালে মুক্তির কোনো গ্যারান্টি নেই।

প্রশ্ন-৩ঃ মুসলিমের সংজ্ঞা কী?

উত্তর: নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দীন নিয়ে এসেছেন তা পুরোপুরিভাবে যিনি মানেন তিনি মুসলিম। ইসলামের সেইসব বিষয় যা নির্দিষ্টভাবে দীনের অংশ সাব্যস্ত করা হয়েছে তার কোনোটিকে অস্বীকার করা বা অপব্যাখ্যা করা কুফর। যে এরূপ করবে সে কাফির।
প্রশ্ন-৪: কুরআন ও হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে সংক্ষেপে বলবেন, মুসলিম কাকে বলে? বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, দলিল প্রমাণগুলো যেন আল কুরআন ও হাদীসে রাসূলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। অন্য কোনো দলিলের প্রয়োজন নেই। তাহলে মানুষ সুযোগ পেয়ে বলবে, এ মত তো আমাদের মাযহাবের নয়। উত্তর: নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে দীন নিয়ে এসেছেন তা কোনোরূপ পরিবর্তন পরিবর্ধন ছাড়া হুবহু গ্রহণ করার নাম ঈমান। কুফর হচ্ছে ঈমানের বিপরীত অর্থাৎ তিনি যা নিয়ে এসেছেন তা না মানার নাম কুফর। আল কুরআনে অগণিত আয়াতে- مَا أُنْزِلَ إِلَى الرَّسُوْلِ "রাসূলের ওপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে" বলে যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে তা মেনে নেয়াকে ঈমান এবং তা মেনে না নেয়াকে কুফর বলা হয়েছে। এমনিভাবে হাদীসে রাসূলেও এর অনেক অনেক প্রমাণ আছে। উদাহরণ স্বরূপ সহীহ্ মুসলিমের একটি হাদীস উল্লেখ করা যেতে পারে যেখানে বলা হয়েছে- 'আমি যা নিয়ে এসেছি তার ওপর যে ঈমান আনবে সত্যিকার অর্থে সেই আমার ওপর ঈমান আনলো।' (সহীহ মুসলিম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৩৭)। এ হাদীস দিয়েই মুসলিম এবং কাফিরের প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যা নিয়ে এসেছেন তা যিনি পুরোপুরি বিশ্বাস করবেন এবং মেনে নেবেন তিনি মুসলিম। আর যে একটি কথাকেও বিশ্বাসের অযোগ্য মনে করে সে কাফির।

আরও বই ডাউনলোড করুন
সীরাত বিশ্বকোষ ১-১২ খন্ড পিডিএফ ডাউনলোড ডাউনলোড
কুরআন হাদীসের আলোকে মরণ ব্যাধি দূর্নীতি pdf ডাউনলোড
ইসলাম মানবতার ধর্ম bangla book pdf ডাউনলোড

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা'আলা রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে 'খাতামুন নাবিয়ি‍্যন' বলেছেন। অনেক হাদীসে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, তিনি শেষ নবী, তার পরে আর কোনো নবী আসবেন না। সমস্ত উম্মাতে মুসলিমা (যদিও তারা বিভিন্ন মাযহাবে বিভক্ত) এ ব্যাপারে একমত, তিনি শেষ নবী। কিন্তু মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সে আকীদা অস্বীকার করে নিজেই নবী দাবী করে বসেছে। এই কারণেই কাদিয়ানীরা অমুসলিম বা কাফির। তদ্রূপ আল কুরআন ও হাদীসে রাসূলে বলা হয়েছে, ঈসা (আ)-কে শেষ জামানায় পৃথিবীতে পাঠানো হবে। মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী এবং তার অনুসারীরা এটিকে অপব্যাখ্যা করেছে। তাদের দাবী হচ্ছে, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীই সেই ঈসা যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। তাদের অমুসলিম হবার এটিও একটি কারণ। তো কিয়ামাত পর্যন্ত নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অনু পরকালের মুক্তির শর্ত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অথচ কাদিয়ানীদের মির্যা গোলাম আহমদের ওহী অনুসারে চলাই পরকালের মুক্তির শর্ত। কাদিয়ানীরা ইসলামের অসংখ্য অকাট্য দলিলকে অস্বীকার করে। তাই সারা পৃথিবীতে সমস্ত উলামায়ে কিরাম তাদেরকে কাফির মনে করেন।

কাফির ও মুশরিকের মধ্যে পার্থক্য

প্রশ্ন-১৪৪ কাফির ও মুশরিকের মধ্যে পার্থক্য কী? কাফির মুশরিকদের সাথে বন্ধুত্ব রাখা, তাদের দেয়া খাদ্য খাওয়া এবং তাদের সালামের জবাব দেয়া জায়েয কিনা?
উত্তর: নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিয়ে আসা দীনের কোনো কথাকে যদি কেউ অস্বীকার করে তাহলে সে কাফির। আর যে আল্লাহর সত্তায় কিংবা গুণাবলীতে অন্য কাউকে সেরূপ মনে করে তাকে মুশরিক বলে। কাফিরের সাথে বন্ধুত্ব করা নিষিদ্ধ। কিন্তু প্রয়োজনে তার সাথে খাওয়া দাওয়া করা যেতে পারে। নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দস্তরখানে কাফিরও খানা খেয়েছে। তবে কাফিরকে সালাম দেয়া যাবে না। যদি সে সালাম দেয় তবে জবাবে শুধু 'ওয়া "আলাইকুম" বলতে হবে।

শিরক ও বিদ'আত

প্রশ্ন-১৫ ৪ শিরক ও বিদ'আত কী? উদাহরণসহ বর্ণনা করবেন।
উত্তর : আল্লাহ তা'আলার সত্তা ও গুণাবলীর মতো অন্য কাউকে মনে করা বা সেসব গুণাবলীর সাথে অন্য কাউকে শরীক করার নাম শিক। আর যে কাজ নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও সাহাবা কিরাম কিংবা তাবিঈগণ করেননি অথচ দীনের মাঝে তা প্রচলন করা হয়েছে এবং তা সম্পাদন করাকে ইবাদত মনে করা হয়, এরূপ কাজকে বিদ'আত বলে। এ মূলনীতির ত উদাহরণ আপনি নিজেই বের করে নিতে পারবেন।


শেয়ার করুন