
কুরআন হাদীসের আলোকে মরণ ব্যাধি দূর্নীতি | মাসুদা সুলতানা রুমীী |
---|---|
প্রকাশনী | রিমঝিম প্রকাশনী |
ভার্চুয়াল সাইজ | ১ এমবি |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | ৩৪ পৃষ্ঠা |
বইয়ের ফরমেট | পিডিএফ ই-বুক |
বিভাগ | ইসলাম শিক্ষা |
কৃতজ্ঞতা | বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার |
দুর্নীতির উপসর্গ ও তার সৃষ্টিকর্তা দূর্নীতির উপসর্গসমূহ-আত্মিক। মানুষের অন্তঃকরণে সৃষ্ট লোভ, হিংসা, প্রতিহিংসা, গর্ব, অহংকার, অহমিকা প্রদর্শনেচ্ছা ইত্যাদি বদ স্বভাবসমূহই দুর্নীতিসহ যাবতীয় অসৎকর্ম করতে ইন্ধন জোগায়। মানবজাতি যাতে আল্লাহর মহাকল্যাণ লাভের জন্যে তাঁর সাধারণ বিধি-বিধান ও নিয়ম-নীতির জ্ঞান অনুযায়ী চলতে না পারে এবং সর্বদাই যাতে মানব জাতি নিজেরা নিজেরা মহাধ্বংসে পতিত হয়ে শাস্তি ভোগ করে, সেই উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে মানুষের জন্য মানুষের দেহাভ্যান্তরে হৃৎপিণ্ড নামক স্থানে উপরে বর্ণিত উপসর্গসমূহ সৃষ্টি হয়। আর সেই উপসর্গসমূহই মানুষকে দুর্নীতি করতে ক্রিয়াশীল করে তোলে। আর সেই মহাধ্বংসকারী উপসর্গসমূহের সৃষ্টিকর্তা হচ্ছে, আল্লাহর শত্রু, নবী ও রাসূলগণের শত্রু, ফিরিশতাগণের শত্রু সর্বোপরি মানব জাতির মহা ও চিরশত্রু অভিশপ্ত শয়তান ইবলিস। ঐ ইবলিস এবং তার কিছু অনুসারী সহজ-সরল মানব জাতির অন্তঃকরণে বিভিন্ন প্রকার পন্থায় লোভ হিংসা প্রদর্শনেচ্ছা, পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি কুস্বভাব সৃষ্টি করে। ফলে মানুষে মানুষে মারামারি, খুনাখুনি, হানাহানি, ধর্ষণ, ছিনতাই, প্রতারণা, আমানত আত্মসাৎ এবং দুর্নীতিসহ যাবতীয় মানব ধ্বংসকারী, সমাজ ধ্বংসকারী তথা দেশ ও বিশ্ব ধ্বংস ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডসমূহ সংঘটিত হয়। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। মানব জাতির সাথে শয়তান ইবলীসের শত্রুতা
ইবলীস সৃষ্টির কারণ
মানব জাতির সাথে অভিশপ্ত শয়তান ইবলীসের শত্রুতা সৃষ্টির কারণ ও ঘটনাটি কমবেশী আমরা সকলেই জানি। তবে সেই ঘটনাটি আমরা অধিকাংশ বাংলাভাষী মানুষ পরস্পর পরস্পরের মুখে মুখে শুনেছি। পবিত্র আল-কুরআনে সেই ঘটনাটির বিস্তারিতভাবে বর্ণনা থাকা সত্ত্বেও আমাদের অনেকেরই আল-কুরআনের সাথে সম্পর্ক নাই তাই আমরা বিস্তারিত জানি না। আমি এ পর্যায়ে সেই ঘটনাটি পবিত্র কুরআন থেকেই তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ ।
ইসলামের দৃষ্টিতে কাঙ্খিত পরিবার Bangla PDF | ডাউনলোড |
---|---|
তাফসীরে তাবারী শরীফ সকল খন্ড পিডিএফ ডাউনলোড! | ডাউনলোড |
আল কুরআন বাংলা অনুবাদ - মাওলানা মুহাম্মদ মূসা | ডাউনলোড |
মরণব্যাধি দুর্নীতি থেকে বাঁচার উপায়
আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত যে আলোচনাগুলো করে আসলাম তাতে যুক্তির মাধ্যমে দুর্নীতির সৃষ্টিকারী ও কুমন্ত্রণাদাতা সম্পর্কে বাস্তব তথ্য উপাথ্যসমূহ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এবং দুর্নীতিতে প্রভাব বিস্তারকারী বিষয়সমূহ সম্পর্কেও সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরার চেষ্টাও করেছি। তাই বলছি আমরা মানব জাতি অত্যন্ত সহজ-সরল হৃৎপিণ্ড নিয়ে এ দুনিয়াতে আগমন করেছি। দুনিয়াতে এসে শয়তান ইবলিস আমাদেরকে ধ্বংস করার জন্যে আমাদের পিছু নিয়েছে। আমরা একমাত্র আল্লাহর সাহায্য ছাড়া তার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি না। আর সে কথা দয়াময় প্রতিপালকও বলছেন এবং সেই শয়তানের কবলে পড়লে আমাদের কি করতে হবে সে কথাও তিনি বলেছেন: وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَنِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ - إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ . 'যদি শয়তানের কুমন্ত্রণা তোমাকে প্ররোচিত করে তবে (তখন) আল্লাহর স্মরণ নিবে। তিনি সর্বোশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।' (হা-মীম আস্ সাজদাহঃ ৩৬) আর শয়তানরা কোন ব্যক্তিকে প্ররোচনা দিয়ে দুর্নীতবাজ তৈরী করে
উপসংহার
পরিশেষে এ কথাই বলতে চাই যে, একটি চলন্ত রেলগাড়ীর ইঞ্জিন ও তার সাথের সংযুক্ত বগিগুলো ততক্ষণ পর্যন্ত তার নিদিষ্ট লাইন বা সিপারের উপর দিয়ে চালিত হয়ে তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত সেই রেলগাড়ীর ইঞ্জিন ও তার বগিসমূহের চাকাগুলো তার নির্দিষ্ট লাইন বা সিপারের উপর স্থির থেকে পরিচালিত হতে পারবে। তদ্রূপ মানবজাতিও একে অপর থেকে ব্যক্তিগত কল্যাণ, পারিবারিক কল্যাণ, সামাজিক কল্যাণ, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক কল্যাণ তথা দুনিয়া এবং আখেরাতের মহাকল্যাণ লাভ করতে পারবে তখনি, যখন সমস্ত মানবমণ্ডলী আল্লাহর সৃষ্টির প্রকৃতির উপর বা নিয়ম-নীতির উপর অটল বা স্থির থেকে তাঁরই বিধানে নিজকে, পরিবারকে, সমাজকে তথা দেশ জাতি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলকে পরিচালিত করতে সক্ষম হবে। আর তাই দয়াময় প্রতিপালক সকল মানব মন্ডলীকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন: فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا - فِطْرَتَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّا سَ عَلَيْهَا - لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللهِ - ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ - وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ . "তুমি একনিষ্ট হয়ে নিজেকে দ্বীনে (আল্লাহর বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত কর, আল্লাহর প্রকৃতির অনুসরণ কর; যে প্রকৃতি অনুযায়ী তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন; আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে কোন পরিবর্তন নাই; এটা সরল দ্বীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।" (রুম: ৩০)