
ইসলামের দৃষ্টিতে কাঙ্খিত পরিবার | ইউসুফ কারযাভী |
---|---|
প্রকাশনী | আল ফুরকান পাবলিকেশন্স |
ভার্চুয়াল সাইজ | ২-এমবি |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | ৮৪ |
বইয়ের ফরম্যাট | পিডিএফ ই-বুক |
বিভাগ | পারিবারিক জীবন |
কৃতজ্ঞতা | বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার |
নেক পরিবার যা স্থায়ী বিবাহের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে যার ফলশ্রুতি হল একে অপরের প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসা, আন্তরিকতা অনুভব করে। আর এটিই হল পবিত্র ইসলামী জীবন যাপনের উদ্দেশ্য-লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম। আর ব্যক্তি-পরিবার ও সমাজের সকল সদস্যের স্থিতিশীল জীবন যাপনের জন্য এটিই হল প্রধান উপাদান। এজন্যই ইসলাম এ ব্যাপারে যথেষ্ঠ গুরুত্ব দিয়েছে এবং এর জন্য চিন্তা, চেতনা, নৈতিক, সামাজিক ও শরয়ী বিধি-বিধান দিয়েছে যা এর ভিত্তিকে পূর্ণতা দান করতে পারে এবং এর কল্যাণ সর্বদা পেতে পারে, সর্বোপরি একে বিচ্ছিন্ন ও মতানৈক্য হতে রক্ষা করার জন্য জোরালো প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ইসলাম প্রথমে যে কাজটির সূচনা করেছে তাহলঃ একজন মুসলমান জানবে বিয়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য, লক্ষ্য এবং এর প্রধান লক্ষ্য কি যাতে সে এব্যাপারে জেনে-বুঝে অগ্রসর হয়। সে যেন এ বিষয়ে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ না করে যার ওপর ভিত্তি করে ভ্রান্ত আচার-আচরণ ও প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে।
দীনদার ও চরিত্রবান হওয়া
প্রথমতঃ দীনদার ও চরিত্রবান হওয়া। যার মধ্যে দীনদারী ও চরিত্র পাওয়া যায় না সে ব্যবসায়িক পার্টনার হবার যোগ্য নয় তাহলে কিভাবে চিরস্থায়ী জীবনের জন্য সে পার্টনার হতে পারে?
এ ব্যাপারে নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেনঃ "এ দুনিয়ার সবকিছুই উপভোগ্য আর উত্তম উপভোগ্য হল নেককার নারী । তিনি আরো ইরশাদ করেনঃ "কোন নারীকে বিবাহ করা হয়ে থাকে চারটি বিষয় দেখে তার বংশমর্যাদা দেখে, তার ধন-সম্পদ দেখে, তার সৌন্দর্য দেখে এবং তার দীনদারী দেখে। অতএব তুমি দীনদারী দেখে বিয়ে কর তাহলে তোমার হাত সিক্ত থাকবে অর্থাৎ তুমি সুখী হবে ।
অপর হাদীসে তিনি বলেন: "আল্লাহ যাকে নেককার মহিলা দিয়েছেন, তাকে তিনি তার দীনের অর্ধেকের ব্যাপারে সহায়তা করেছেন। সুতরাং সে যেন বাকী অর্ধেক বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে ।
পারস্পরিক আত্মার মিল
দ্বিতীয় উপাদান যা আপনার জীবন সঙ্গীর মাঝে পেতে হবে তাহলঃ.. দু'পক্ষের মাঝে আত্মিক মিল বা মনের ঐকমত্য। কেননা মানুষের মাঝে এমন কিছু লোক রয়েছে যাদের সাথে কোনভাবেই বসবাস করা সম্ভব হয় না। হয়ত প্রকাশ্যে কিছুই দেখা যায় না কিন্তু তার সাথে আপনার মতের সাথে মনের সাথে মিল হবে না। হাদীস শরীফে বিষয়টিকে এভাবে ব্যক্ত করা হয়েছেঃ "অন্তঃকরণগুলো সৈন্য-সামন্তের মত। যার সাথে পরিচিত হয়েছে অন্তরঙ্গ হয়েছে আর য়াকে অপছন্দ করেছে তার সাথে দ্বিমতপোষণ করেছে।" ১ সুতরাং আত্মার মাঝে পারস্পরিক পরিচয় ও মিল হল অন্তরঙ্গতার মূল ভিত্তি আর অপছন্দ বা ঘৃণা করা হল মতপার্থক্যের মূল কারণ। এটি বুঝা যাবে প্রথম দেখা-সাক্ষাতেই, আবার বুঝা যাবে ব্যক্তির কথাবার্তায় কিংবা তার আচার-আচরণে তা যতই তুচ্ছ হোক না কেন। সুতরাং যখন এ ব্যক্তির ব্যাপারে সন্দেহ সংশয় সৃষ্টি হবে তখন আর অগ্রসর না হওয়াই উত্তম।
ইসলামের দৃষ্টিতে কাঙ্খিত পরিবার
দৃষ্টি দেয়া বা দেখা শুধুমাত্র পুরুষেরই অধিকার নয় বরং সেটি নারীরও অধিকার বটে। এজন্য তাকেও দেখার সুযোগ করে দিতে হবে যেমন ভাবে তাকে দেখবে। তারা যেন একে অপরের সাথে কথা-বার্তা বলার সুযোগ পায়। আর এর দ্বারা একে অপরের মনের মাঝে স্থান করে নিতে পারে অন্তত বাহ্যিকভাবে হলেও। সবচেয়ে বড় কথা হল যেন একে অপরে অন্তরে প্রবেশ করার সুযোগ পায় এবং একে যেন অপরের অতিি বলে অনুভব করে আর সে যেন ওকে নিয়েই পূর্ণতা লাভ করবে। এ দৃষ্টি দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, "তোমরা একে অপরের অংশবিশেষ।
ইসলাম মানবতার ধর্ম bangla book pdf | ডাউনলোড |
---|---|
কুরআন হাদিসের আলোকে শহীদ কারা pdf | ডাউনলোড |
দারসে হাদিস darse hadis abdul motin pdf | ডাউনলোড |
পাত্র-পাত্রীর উপযুক্ততা
তৃতীয় বিষয় হল ব্যক্তিত্বের উপযুক্ততার বিষয়টি দেখতে হবে। তার আর্থিক, মানসিক, বয়স ও সামাজিক অবস্থার দিকে নজর দিতে হবে যেন এসবের কোন ঘাটতির কারণে যেন দাম্পত্য জীবন ব্যাহত না হয় এবং এরফলে যেন ছাড়াছাড়ি না হয়ে যায় ।
একজন নিঃস্ব-গরীব লোকের উচিত হবে না একজন ধনাঢ্য মহিলাকে বিয়ে করা যে তার চেয়ে ধন-দৌলতের দিক দিয়ে অগ্রগামী এবং এর চেয়ে উন্নত জীবন যাপন করে। প্রকৃত ব্যাপার হল পুরুষ নারীর ওপর কর্তৃত্বশীল হবে এবং তার খরচাপাতি বহন করবে কিন্তু এখানে এই নারীকেই খরচাপাতি বহন করতে হবে বিধায় সে তার ওপর কর্তৃত্ববান না হয়ে তার (স্ত্রীর) কর্তৃত্বাধীন হয়ে পড়বে।
একজন অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত ব্যক্তির ইউনিভার্সিটির শিক্ষিতা মেয়েকে বিয়ে করা উচিত নয় তেমনি এর উল্টেটিও উচিত হবে না কেননা এদের মাঝে শিক্ষা-দিক্ষার বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। এদের মাঝে শুধুমাত্র মিল হবে খাওয়া-দাওয়া এবং যৌন সম্ভোগের। একজন যুবকের বিয়ে করার ক্ষেত্রে বৃদ্ধা খোঁজা উচিত হবে না। ঠিক তেমনিভাবে একজন যুবতীর জন্য বৃদ্ধা স্বামী, সাধারণতঃ এর পেছনে থাকে আর্থিক কারণ। এর দ্বারা অনেক ক্ষেত্রেই বিয়ের উদ্দেশ্য পন্ড হয়, এর স্বচ্ছতা কলুষিত হয়। এ কারণেই নবী করীম (সা.) জাবেরকে-আনসার যুবক, যিনি নবী করীম (সা.)-কে নিজের বিয়ে করার সংবাদ জানিয়েছিলেন- তিনি তাকে বললেন, কুমারী না পূর্ব-বিবাহিতা? তিনি বললেন, বরং পূর্ব-বিবাহিতা। তিনি বলেন, যদি কুমারী হত তুমি তার সাথে রঙ্গতামাসা করতে আর সেও তোমার সাথে রঙ্গতামাসা করত