
কুরআন হাদিসের আলোকে শহীদ কারা | আবদুল মাতিন বিক্রমপুরী |
---|---|
প্রকাশনী | আধুনিক প্রকাশনী |
ভার্চুয়াল সাইজ | ১ এমবি |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | ৫০ পৃষ্ঠা |
বইয়ের ফরমেট | পিডিএফ ই-বুক |
প্রকাশের তারিখ | বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার |
কৃতজ্ঞতা | বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার |
পুস্তকটিতে লেখক অত্যন্ত সুন্দরভাবে কুরআন, হাদীস ও বড় বড় অভিধানের সাহায্যে শরীয়তের দৃষ্টিতে শহীদ কারা বা কাদেরকে শহীদ বলা যায় তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। বর্তমানে অনেকেই শহীদ শব্দটি নিজেদের খেয়াল খুশীমত ব্যবহার করছে। এমনকি বিধর্মীদের বেলায়ও ব্যবহৃত হচ্ছে। শহীদ শব্দটি মূলত কুরআনের নিজস্ব শব্দ। কাজেই কুরআন যাদেরকে শহীদ বলেছে তাদেরকেই শহীদ বলা উচিত। লেখক তাই প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। আশা করি পুস্তকটি পাঠে শহীদ সম্পর্কে পাঠকের মনে সঠিক ধারণা প্রতিষ্ঠিত হবে ।
আল্লাহ হযরত আদম (আ) কে নবী বানিয়ে সর্বপ্রথম তাঁর উপর তাওহীদি জীবনব্যবস্থা নাযিল করেন। হযরত আদম (আ) তাঁর সন্তান-সন্তুতি নিয়ে এ জীবনব্যবস্থার উপর চলতে থাকেন। এমনকি এ জীবনব্যবস্থা হযরত নূহ নবীর জমানার পূর্বকাল পর্যন্ত চলতে থাকে। হাজার হাজার বছর পর্যন্ত এ জীবনব্যবস্থা চালু ছিল। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে সমাজে পূর্ণ শাস্তি ও শৃংখলা বিরাজ করছিল। কোন দিন সমাজে অশান্তি, বিশৃংখলা, অরাজকতা বা ওলটপালট হয়নি। এ জীবনব্যবস্থাই সনাতন, সঠিক ও স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থা।
তাওহীদি জীবনব্যবস্থা
হযরত নূহ নবীর কিছুকাল পূর্বে তাগুতের জন্ম হয়ে সমাজে আত্মপ্রকাশ করে। যখন তারা সর্বপ্রথম মনগড়া ও শিরক ভিত্তিক জীবনব্যবস্থা কায়েম করে শাসনের পরিবর্তে শোষণ করতে থাকে এবং সমাজে অশান্তি, বিশৃংখলা ও বিরাট ওলটপালট করতে শুরু করল তখন আল্লাহ তায়ালা হযরত নূহ নবীকে সেই সনাতন জীবনব্যবস্থা দিয়ে পাঠান। এতে তাগুতদের সাথে তাঁরা বিরাট সংঘর্ষ চলতে থাকে। যখন তাগুতগণ বেশী বাড়াবাড়ি ও সীমালংঘন করতে থাকে তখন আল্লাহ তায়ালা মহাপ্লাবন দ্বারা এ তাগুত জাতিকে ধ্বংস করে দেন।
আল কুরআনে অর্থনীতি pdf download | ডাউনলোড |
---|---|
ইসলাম মানবতার ধর্ম bangla book pdf | ডাউনলোড |
তাফসীর আয়াতুল কুরসী - ডাঃ ফযলে ইলাহী | ডাউনলোড |
এরপর প্রত্যেক যুগে পৃথিবীর সব দেশে তাগুত ছিল এবং তার প্রত্যেক নবী-রসূলের সাথে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ ও যুদ্ধ করতে থাকে। বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশে তাগুত আছে যারা নায়েবে রাসূলের সাথে সংগ্রাম, দ্বন্দু, সংঘর্ষ ও স্বশস্ত্র যুদ্ধ করে যাচ্ছে। তাগুতগণ শিরক ভিত্তিক জীবনব্যবস্থা কায়েম করে সমাজে জুলুম-অত্যাচার, শাসনের নামে শোষণ, হারাম পথে উপার্জন, হারাম পথে ব্যয়, ধর্ষণ ইত্যাদি দ্বারা সমাজকে কলুষিত করতে থাকে। তখন তাওহীদবাদী মুসলিমগণ তাদেরকে বাধা দেন ও তাওহীদি জীবনব্যবস্থার দিকে লোকদেরকে আহবান করেন। এতে তাগুতগণ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ও কুৎসা রটায়, দোষারোপ করতে থাকে অবশেষে স্বশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এমনকি তাদের দলবল নিয়ে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আল্লাহ একদিকে তাগুতের গোলামী করা থেকে বেঁচে খাকার অপরদিকে তাওহীদি জীবনব্যবস্থা কায়েম করার নির্দেশ দিয়েছেন । আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক নবী-রাসূলকে এ নির্দেশ দিয়েছেন যে, মানুষগণ তাগুতের অনুসরণ করা ও তাদের বানানো শিক্ক ভিত্তিক জীবনব্যবস্থা থেকে