
দৌড়াও আল্লাহর দিকে | অধ্যাপক মুজিবুর রহমান |
---|---|
প্রকাশনীঃ | আহসান পাবলিকেশন |
বইয়ের সাইজঃ | ১-এমবি |
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ | ৫৩ |
বইয়ের ফরম্যাট | পিডিএফ ই-বুক |
বিভাগঃ | ইসলাম শিক্ষা |
কৃতজ্ঞতায়ঃ | বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার |
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষের অনেক দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করে শুধু এমনি ছেড়ে দেননি। সাথে সাথে তাদের জীবন পরিচালনার জন্য বিধান হিসাবে মহাগ্রন্থ আলকুরআন নাযিল করেছেন। কোন পথে চললে কল্যাণ হবে, আর কোন পথে চললে অকল্যাণ হবে সবই সন্নিবেশিত করে রেখেছেন মহাগ্রন্থ আল কুরআনে। কিন্তু আমরা মানুষ, মানবিক দুর্বলতা আমাদের মধ্যে রয়েছে। আর এ দুর্বলতার কারণে আমরা ঐ কুরআনের বাণী ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রদর্শিত সেই পথকে ভুলে গিয়ে পার্থিব সুখ-শান্তির নেশায় হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াই। কিন্তু এটা প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
কেননা পরকালীন জীবনের তুলনায় পার্থিব জীবন মাত্র কয়েক সেকেন্ড, আর সেই কয়েক সেকেন্ড আরাম আয়েশের জন্যে আমরা মরিয়া হয়ে লেগে যাই। হারাম-হালালের বাছ বিচার করিনা। আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) এর নির্দেশিত দায়-দায়িত্বের কথা ভুলে যাই। সেই সমস্ত দায় দায়িত্বের অনুভূতি জাগ্রত করা এবং অচেতন লোকদের সচেতন ও সচেতন লোকদের আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রখ্যাত লেখক অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বইটিতে কুরআন-হাদীস এবং বিভিন্ন যুক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে পাঠক-পাঠিকার কাছে তুলে ধরেছেন।
ধন সম্পদ হবে বিপদ
মানুষ খুবই ব্যস্ত। কিন্তু তার এই ব্যস্ততার কারণ কি? কি জন্য ব্যস্ত হয়ে ছুটাছুটি করছে? সম্ভবতঃ তিনটি কারণে হতে পারে-
প্রথমত: সম্পদের লোভে, দ্বিতীয়ত: নাম যশের লোভে এবং তৃতীয়তঃ আরাম আয়েশ কিংবা নারী ভোগের লোভে। কিন্তু ধন সম্পদ কতদিন তার কাজে লাগবে? দুনিয়ার জীবনে কিছুদিন কাজে লাগলেও আখেরাতে এ সম্পদ কাজে লাগবে না। বরং সম্পদের হিসাব দিতে হবে শেষ পর্যন্ত আটক হয়ে যাবে। কিয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ্নের জবাব দেয়া পর্যন্ত মাটি তার পাঁ কামড়ে থাকবে- সে চলতে পারবে না- পাঁচটি প্রশ্নের মধ্যে দুটি প্রশ্ন হল-
১. মাল বা সম্পদ কিভাবে উপার্জন করেছো? এবং ২. সেই মাল বা সম্পদ কিভাবে ব্যয় করেছো?
এখানে সম্পদকে আপদ বা বিপদ মনে হবে।
কঠিন পাঁচটি প্রশ্নের মধ্যে ধন সম্পদ সংক্রান্ত দুইটি। মাল আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত অল্প প্রস্তুতি নিলে হবে না জোর প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
আজাদী আন্দোলনে আলেম সমাজের সংগ্রামী ভুমিকা - পিডিএফ ডাউনলোড | ডাউনলোড |
---|---|
তারীখে ইসলাম -মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান bangla pdf book | ডাউনলোড |
ধারাবাহিক পূর্ণাঙ্গ নামাজ শিক্ষা (প্রয়োজনীয় মাসাইল সহ) pdf islamic book | ডাউনলোড |
ধ্বংসপ্রাপ্ত চৌদ্দ জাতি
ধ্বংসপ্রাপ্ত ১৪টি জাতির কথা কুরআন মাজিদে উল্লেখ আছে- যারা আল্লাহর পাঠানো নবীদের হেদায়াতে কর্ণপাত করেনি। যারা তাদের নবীকে মিথ্যা মনে করেছে, উপহাস করেছে, নির্যাতন করেছে, কারাবন্দী করেছে, আঘাত দিয়ে রক্তাক্ত করেছে। এমনকি হত্যা পর্যন্ত করতে ইতস্তুতঃ করেনি। এমন ধ্বংসপ্রাপ্ত কওম থেকে শিক্ষা নিয়ে আল্লাহর পথে দ্রুত অগ্রসর হতে হবে। ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলো হচ্ছে:
১) আদ জাতি ২) সামুদ জাতি ৩) লুত জাতি ৪) নুহ জাতি ৫) সাবা জাতি ৬) তুব্বা জাতি ৭) বনি ইসরাইল জাতি ৮) আসহাবে কাহাফ জাতি ৯) আসহাবুস সাবত জাতি ১০) আসহাবুল কারিয়া জাতি ১১) আসহাবুল আইকা জাতি ১২) আসহাবুল উখদুদ জাতি ১৩) আসহাবুল রাস জাতি ১৪) আসহাবুল ফিল জাতি। দৌড়াও আল্লাহর দিকে
ওরা মেঘ দেখে ভীত হয়নি
অতীতে বহু জাতি আল্লাহর নাফরমানী করে আল্লাহর আযাবের উপযুক্ত হয়েছিল। তাদেরকে প্রচুর পরিমাণ ধন সম্পদ দেয়া হয়েছিল। সন্তান সন্তুতিসহ শক্তিশালী জাতিতে পরিণত করা হয়েছিল। তারা আল্লাহর এসব নিয়ামত ভোগ করে শুকরিয়া আদায় করেনি। আল্লাহর বিধান মেনে চলেনি। নবীদের সতর্কবাণীর পরোয়া করেনি। বরং বলেছে তুমি কি আযাবের কথা বলছ সেইসব আযাব নিয়ে আস। অহংকারে তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে। ফলে-
- ক) কাউকে আসমান থেকে পাথর বর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
- খ) কাউকে ভয়ানক ও প্রচন্ড শব্দ দিয়ে খতম করা হয়েছে।
- গ) কাউকে মাটিতে পুতে ধ্বংস করা হয়েছে।
- ঘ) কাউকে পানিতে ডুবিয়ে মারা হয়েছে।
- অতীতের জাতিগুলো আকাশে মেঘ উঠেছে মনে করে